গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি।
গোপালগঞ্জের পৌরপার্ক এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র সমাবেশে হামলা চালিয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীরা। এতে ভাঙচুর করা হয় সাউন্ড সিস্টেম ও চেয়ার, পাশাপাশি নেতাকর্মীদের ওপর চালানো হয় শারীরিক হামলা। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও সক্রিয় ভূমিকা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে আয়োজিত ওই সমাবেশে উপস্থিত হয়ে নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “শেখ পালিয়েছিল পাকিস্তানে, শেখের বেটি পালিয়েছে ভারতে। শেখের বেটি গোপালগঞ্জের নাম ব্যবহার করে বাংলাদেশকে ছারখার করেছেন।” তিনি আরও বলেন, গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষও বৈষম্যের শিকার হয়েছেন এবং তাদের পাশে দাঁড়ানোর কেউ ছিল না।
তিনি বলেন, “আমরা পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি নয়, ভালোবাসা দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই।” তিনি বগুড়া, ফেনী ও গোপালগঞ্জের প্রভাবশালী রাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে জাতীয় রাজনীতির আহ্বান জানান।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের সংগঠক সারজিস আলাম ও কেন্দ্রীয় নেতা ডা. তাসনিম জারা। স্থানীয় নেতাকর্মীরা ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগানে তাঁদের অভ্যর্থনা জানান।
হামলার ঘটনা ঘটে দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে, যখন সমাবেশের প্রস্তুতি চলছিল। ছাত্রলীগের কর্মীরা মঞ্চে হামলা চালিয়ে মাইক, সাউন্ড বক্স এবং চেয়ার ভাঙচুর করে। এতে এনসিপির কর্মীদেরও আহত করার অভিযোগ ওঠে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এই হামলার দায়ে এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়েছে কিনা— সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য জানা যায়নি।