মাসব্যাপী ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গোপালগঞ্জে আয়োজিত সমাবেশের পর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতারা আজ বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৫টার পর সেনাবাহিনী ও পুলিশের কড়া পাহারায় জেলা ছেড়েছেন। এই বহরে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, আখতার হোসেন, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলমসহ ১৫ থেকে ১৬টি গাড়ি ছিল বলে নিশ্চিত করেছেন এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহিন।
আজ দুপুরে গোপালগঞ্জ পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশ শুরুর আগেই আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ সমর্থকদের অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। হেলমেট পরা হামলাকারীরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ককটেল নিক্ষেপ করে, মঞ্চের ডায়াজ, সাউন্ডবক্স, মাইক ও চেয়ার ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশসহ এনসিপি নেতাকর্মীরা দিকবিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন।
হামলা ও ভাঙচুরের মধ্যেই দুপুর ২টার আগে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশে উপস্থিত হন। দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম প্রথমে বক্তব্য দেন। এরপর দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার স্লোগানে সমাবেশস্থল মুখরিত করে তোলেন। এ সময় সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, সারোয়ার তুষারসহ অন্যান্য নেতারা তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
পরে নাহিদ ইসলাম বক্তব্য দিয়ে সভা শেষ করেন এবং সারজিস আলম আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশস্থল ত্যাগের ঘোষণা দেন।
তবে, গোপালগঞ্জ সভা শেষে ফেরার পথেও এনসিপির গাড়িবহরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা হামলা চালায়। এতে গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গুলি চালায়। এই সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে। উল্লেখ্য, এর আগে আজ সকালেই পুলিশের গাড়িতে আগুন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছিল।