ডেস্ক নিউজ।
ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রাণ গেছে একই পরিবারের তিন শিশুর। তারা হলেন ১০ বছরের আরিয়ান, ৯ বছরের বাপ্পি ও হুমায়ের। সোমবারের এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় অকালেই থেমে গেল তিনটি কোমল প্রাণের পথচলা।
স্কুল ও কোচিং ক্লাস শেষে ঘরে ফেরার কথা থাকলেও, বাড়ি ফিরেছে তাদের নিথর দেহ। দিয়াবাড়ির তারারটেক মসজিদের পাশেই পাশাপাশি তিনটি কবরে শায়িত করা হয়েছে শিশুদের। জানাজায় অংশ নেয় শতাধিক মানুষ; শোকে স্তব্ধ এলাকাবাসী, সহপাঠী ও স্বজনরা।
নিহতদের মধ্যে বাপ্পি ছিলেন মোহাম্মদ আবু শাহিনের ছেলে, হুমায়ের তার ভাইয়ের সন্তান এবং আরিয়ান শাহিনের চাচাতো ভাই। সম্পর্কে তারা চাচা-ভাতিজা হলেও বয়স ও পড়াশোনায় ছিল সহপাঠী ও বন্ধু। তিনজনই প্রতিদিন একসঙ্গে স্কুলে যেত এবং একসঙ্গে বেড়ে উঠছিল।
ঘটনার সময় মি. শাহিন জোহরের নামাজ শেষে স্কুলে ছেলেকে আনতে যাচ্ছিলেন। পথেই বিস্ফোরণের শব্দ শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তিনি বলেন, “আমার ছেলে যে ক্লাসে পড়ে, তার আগের ক্লাসে বিমানটা ঢুকেছে। তখনই বুঝেছি, আমার ছেলে আর নাই।”
দুর্ঘটনার পর আহত অবস্থায় বাপ্পি ও আরিয়ানকে উদ্ধার করা হলেও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তারা। হুমায়ের ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়।
বেঁচে যাওয়া সহপাঠী রাইয়ান আফনান জানান, দুর্ঘটনার সময় সে বাইরের লাইব্রেরিতে থাকায় অল্পের জন্য রক্ষা পায়।
এ ঘটনায় আরও দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে, যাদের মরদেহ তাদের নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
একের পর এক কফিনে শিশুদের বাড়ি ফেরা, বিদায়ের কান্না আর স্বজন হারানোর বেদনায় কেঁপে উঠেছে পুরো তারারটেক এলাকা। এই ঘটনা একদিকে শোক, অন্যদিকে ক্ষোভও ছড়িয়ে দিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।