বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক।
রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ অনুষ্ঠানে ৫ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠ করা হয়েছে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন, যেখানে তিনি দেশের রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও সাংবিধানিক সংস্কারের জন্য ২৮ দফা পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
ঘোষণাপত্রে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সংঘটিত কথিত ‘গণঅভ্যুত্থান’-এর কথা উল্লেখ করে সেই আন্দোলনকে ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। সেইসঙ্গে আন্দোলনে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা করার দাবি তোলা হয়।
ড. ইউনূস ঘোষণাপত্রে বলেন, “শুধু সরকার পতন নয়, পুরো ব্যবস্থার আমূল সংস্কার ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।” তিনি আরও জানান, ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট থেকে যাত্রা শুরু করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই সংস্কারের কাজ শুরু করেছে এবং জনগণের মতামতের ভিত্তিতে এই ঘোষণাপত্র ভবিষ্যৎ সংবিধানে সংযুক্ত করা হবে।
এতে উল্লেখ করা হয়, বিগত সরকারের সময় ‘গণহত্যা, গুম, দমনপীড়ন ও ব্যাপক দুর্নীতি’র মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং তা ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অবসান ঘটে।
ঘোষণাপত্রে স্বাধীন বিচারব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশনের সংস্কার, প্রবাসী ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ, সংসদের ভূমিকা পুনর্নির্ধারণ, এবং নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারপন্থী বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।