রাজবাড়ী প্রতিনিধি।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা পাড়ের রাখালগাছি চরের কয়েক হাজার মানুষ বছরের পর বছর স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অবকাঠামোগত সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে জীবনযাপন করছেন। বর্ষাকালে কবরস্থান পানিতে তলিয়ে গেলে লাশ ভাসিয়ে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
পানিবেষ্টিত এই এলাকায় উপজেলা সদর থেকে পৌঁছাতে সময় লাগে দুই থেকে তিন ঘণ্টা, যার বেশিরভাগ সময় লাগে নদী পারাপারে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতাল না থাকায় রোগীদের চিকিৎসা পেতে অন্তত দুই ঘণ্টা নৌযাত্রা করতে হয়। স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের অভাবে এখনো ঝুলন্ত টয়লেট ব্যবহার করছেন স্থানীয়রা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বল্পতার কারণে অনেক শিশু স্কুলে না গিয়ে শ্রমে যুক্ত হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বর্ষাকালে রাস্তাঘাটের বেহাল দশা চলাচল আরও দুরূহ করে তোলে। অন্তঃসত্ত্বা নারী, শিশু ও বয়স্কদের চিকিৎসা ও জরুরি সেবা পাওয়া কঠিন হয়ে যায়।
গোয়ালন্দ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. কবির হোসেন বলেন, সরকারি নীতিমালার কারণে এখানে নতুন স্কুল স্থাপন করা কঠিন হলেও শিশুদের স্কুলমুখী করতে চেষ্টা চলছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. শরিফুল ইসলাম জানান, এলাকায় একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ইউএনও মো. নাহিদুর রহমান বলেন, দুর্গমতা ও নদীভাঙনের কারণে সেবা প্রদানে বিঘ্ন ঘটে, তবে কবরস্থানের বিষয় নজরে রয়েছে।