দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে পানি প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। চিলমারী ও রামকৃঞ্চপুর ইউনিয়নের পাশাপাশি ফিলিপনগর ও মরিচা ইউনিয়নের নতুন এলাকা নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর পাবনা ওয়াটার হাইড্রোলজি বিভাগের তথ্যঅনুযায়ী, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি সর্বশেষ ২ সেন্টিমিটার বেড়ে ১২ দশমিক ৯৪ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার পানির এই উচ্চতা অপরিবর্তিত ছিল। এখানে পানির বিপদসীমা ১৩ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। ফলে শুক্রবার পানি বিপদসীমা ৮৪ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে।
উপজেলার চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৩৫টি গ্রামের প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। চলাচলের সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক পথে বন্ধ হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। তাছাড়া গবাদিপশুর খাবারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। নতুন করে পদ্মার পাড়ে ফিলিপনগর ও মরিচা ইউনিয়নের চরের আবাদি জমিও প্লাবিত হয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পানি প্রবেশ করায় ১৭টি প্রাথমিক ও ৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মিলে ২১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান জানান, অত্র ইউনিয়নের জন্য এখন পর্যন্ত ১০ টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে, যা দ্রুত বানভাসি অসহায়দের মাঝে বিতরণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই সিদ্দিকী জানান, ইতোমধ্যে পানিবন্দীদের মাঝে সরকারের বরাদ্দকৃত চাল পৌঁছে দেয়া হয়েছে, এবং তা পর্যায়ক্রমে বিতরণ হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২০ টন চাল বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। প্রয়োজন বা চাহিদা মাফিক সরকারী সহায়তা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া ৩২০ প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী ও শুকনো খাবার ইতিমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।