1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. suma59630@gmail.com : ফাতেমা আকতার তোয়া : ফাতেমা আকতার তোয়া
  3. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  4. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
  5. wasifur716@gmail.com : Wasifur Rahaman : Wasifur Rahaman
শিকার আর বিলাসবহুল সুগন্ধির গল্প: কস্তুরীর রক্তমাখা ইতিহাস - বিডিটেলিগ্রাফ | Bangla News Portal, Latest Bangla News, Breaking, Stories and Videos
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ফ্রান্সজুড়ে অর্থনৈতিক কড়াকড়ির বিরুদ্ধে লাখ মানুষের বিক্ষোভ করাচিতে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভে হাজারো মানুষের অংশগ্রহণ এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া-চিকিৎসা-উৎসবভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব জুমার নামাজের নিয়ত,রাকাত সংখ্যা ও শর্তাবলি শ্যামনগরে সেনা অভিযানে ভারতীয় ঔষধসহ ৩জন আটক মায়ের মৃত্যুর পর মানসিক ভারসাম্য হারানো লিটনের ১৪ বছরের শিকল জীবন চাকসু নির্বাচনে শিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ ঘোষণা হাসপাতালে ছাড়পত্র পেলেও পুরোপুরি সুস্থ নন নুরুল হক নুর মাদক,বাল্যবিবাহ ও কিশোর অপরাধের বিরুদ্ধে কলমাকান্দায় শিক্ষার্থীদের শপথ মোহনগঞ্জে হাওর থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

শিকার আর বিলাসবহুল সুগন্ধির গল্প: কস্তুরীর রক্তমাখা ইতিহাস

  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫
  • ১৫৯ জন খবরটি পড়েছেন

বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক।

কস্তুরী কী

কস্তুরী (Musk) একটি বিরল প্রাণিজ সুগন্ধি, যা পাওয়া যায় পুরুষ কস্তুরীমৃগের (Musk Deer) নাভিগ্রন্থি থেকে। সাধারণত হরিণটির বয়স যখন ১০ বছরে পৌঁছায় তখন নাভি গ্রন্থি পূর্ণতা লাভ করে। এই সময় হরিণকে হত্যা করে সংগ্রহ করা হয় কস্তুরীগ্রন্থি, যার ওজন প্রায় ৬০-৬৫ গ্রাম।

ঘ্রাণের অনন্যতা

কস্তুরীকে বলা হয় সুগন্ধির রাজা। কথিত আছে, কস্তুরীর এক তিল কোনো ঘরে ফেলে রাখলে বহু বছর ধরে সেখানে সুবাস ছড়িয়ে থাকে। তিন হাজার ভাগ নির্গন্ধ পদার্থের সঙ্গে সামান্য কস্তুরী মেশালেই তা সুবাসিত হয়ে ওঠে। এর ঘ্রাণ এতটাই তীব্র যে সংগ্রহের সময় অনেক শিকারি চোখ-নাক থেকে পানি ঝরা কিংবা শ্বাসকষ্টে ভোগেন।

কস্তুরী মৃগ: লাজুক অথচ অমূল্য

ইংরেজিতে এ প্রাণীর নাম Musk Deer। এরা খুব লাজুক প্রকৃতির এবং নিরিবিলি পার্বত্য এলাকায় বিচরণ করে। হিমালয়ের উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল, পামির মালভূমি ও কিছু তৃণভূমি সমৃদ্ধ উপত্যকা হচ্ছে এদের মূল আবাস। দেখতে ছোট আকারের হলেও এরা অত্যন্ত আকর্ষণীয়— সরু পা, মোটা লোম, উজ্জ্বল চোখ এবং ওপরের মাড়ি থেকে গজানো দুটি ছোট দাঁতের জন্য সহজেই চেনা যায়।

নাভিগ্রন্থির রহস্য

পুরুষ হরিণের নাভি মুখে এক ধরনের কোষ জন্ম নেয়, যা পূর্ণতা পেলে সুগন্ধ ছড়াতে থাকে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, হরিণ নিজেই জানে না যে তার শরীর থেকেই সুবাস ছড়াচ্ছে। ফলে সে পাগলের মতো ছুটতে থাকে অজানা ঘ্রাণের উৎসের সন্ধানে।

সংগ্রহের নির্মমতা

এক কিলোগ্রাম খাঁটি কস্তুরী সংগ্রহ করতে প্রায় দুই হাজার হরিণ শিকার করতে হয়। এজন্য এ প্রাণী বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে। শিকারিরা যখন নাভিগ্রন্থি কাটে, তখন ঘ্রাণ এতটাই তীব্র হয় যে অনেকে অজ্ঞান হয়ে যান বা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।

ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব-

প্রাচীনকাল থেকেই কস্তুরী রাজকীয় সুগন্ধি হিসেবে পরিচিত। মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে ভারতীয় উপমহাদেশ পর্যন্ত কস্তুরী ব্যবহার হয়েছে ধর্মীয় আচার, রাজকীয় আসবাবের সুগন্ধি, এমনকি চিকিৎসা উপাদান হিসেবেও। আজও আন্তর্জাতিক বাজারে এর কদর আকাশচুম্বী, তবে এর উৎপাদন সীমিত এবং আইনগতভাবে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2025
Theme Customized By BreakingNews