1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. suma59630@gmail.com : ফাতেমা আকতার তোয়া : ফাতেমা আকতার তোয়া
  3. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  4. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
  5. wasifur716@gmail.com : Wasifur Rahaman : Wasifur Rahaman
শ্যামনগরে খোলপেটুয়া নদী চর দেবে যাওয়ায়, আতঙ্কে এলাকাবাসী - বিডিটেলিগ্রাফ | Bangla News Portal, Latest Bangla News, Breaking, Stories and Videos
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ফ্রান্সজুড়ে অর্থনৈতিক কড়াকড়ির বিরুদ্ধে লাখ মানুষের বিক্ষোভ করাচিতে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভে হাজারো মানুষের অংশগ্রহণ এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া-চিকিৎসা-উৎসবভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব জুমার নামাজের নিয়ত,রাকাত সংখ্যা ও শর্তাবলি শ্যামনগরে সেনা অভিযানে ভারতীয় ঔষধসহ ৩জন আটক মায়ের মৃত্যুর পর মানসিক ভারসাম্য হারানো লিটনের ১৪ বছরের শিকল জীবন চাকসু নির্বাচনে শিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ ঘোষণা হাসপাতালে ছাড়পত্র পেলেও পুরোপুরি সুস্থ নন নুরুল হক নুর মাদক,বাল্যবিবাহ ও কিশোর অপরাধের বিরুদ্ধে কলমাকান্দায় শিক্ষার্থীদের শপথ মোহনগঞ্জে হাওর থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

শ্যামনগরে খোলপেটুয়া নদী চর দেবে যাওয়ায়, আতঙ্কে এলাকাবাসী

  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫
  • ১৩০ জন খবরটি পড়েছেন

নিজস্ব প্রতিনিধি।
সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার খোলপেটুয়া নদীর চর হঠাৎ দেবে যাওয়ায় নদীপাড়ের এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়েছে। চর দেবে যাওয়ার ফলে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য গর্ত ও ফাটল, যা নদীভাঙনের পূর্বাভাস দিচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। গত শনিবার বিকেলে উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের উত্তর ভামিয়া জোমাদ্দার পাড়া সংলগ্ন এলাকার নদীর চরের একটি অংশে প্রায় ৪০০ ফুট চর দেবে গেছে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘটনার ৩ থেকে ৪ দিন অতিবাহিত হলেও খোলপেটুয়া নদীর ওই এলাকার দীর্ঘদিনের ভাঙন রোধে পাউবো কর্তৃপক্ষ দৃশ্যমান কার্যকর কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। একের পর এক চর দেবে গেলেও শুধুমাত্র পরিদর্শনে সীমাবদ্ধ রয়েছে পাউবোর কার্যক্রম। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যে কোনো সময় উপকূল রক্ষা বাঁধ ও পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলো নদীতে তলিয়ে যাবে।

স্থানীয় আবুল হোসেন, অহিদ জোমাদ্দার ও সেলিম হোসেনসহ কয়েকজন জানান, গত শনিবার হঠাৎ দেখি চর ধসে গিয়ে বড় গর্ত হয়ে গেছে। মাটি যেন নিচের দিকে টেনে নিচ্ছে। পাশে থাকা একটি গাছও হেলে পড়েছে। আমরা খুব ভয়ে আছি। এখানে নদরি পাড়ে ৩৫০টি পরিবার বসবাস করে। চর দেবে যাওয়ার পেছনে খোলপেটুয়া নদীর নিচ দিয়ে স্রোতের ধাক্কা ও ভূমি দুর্বল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া সম্প্রতি টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধিও এর অন্যতম কারণ হতে পারে। যত দিন যাচ্ছে আস্তে আস্তে ভাঙন ওয়াপদার দিকে চলে আসছে। ভাঙন স্থানে ৭০ থেকে ৮০ ফুট গভীর হয়েছে দাবি করে তারা জানান দ্রুত এই ভাঙন রোধ করা না গেলে ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হবেন তারা।

বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, এখনই যদি কাজ শুরু করা না হয়, তবে অদূর ভবিষ্যতে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হবে, যার প্রভাব পড়বে পুরো জনপদে।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশল মোঃ ফরিদুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনসহ বর্তমান বেড়িবাঁধের অবস্থার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ভাঙন কবলিত স্থানের জরিপও শেষ হয়েছে। আশা করছি অতি দ্রুতই সেখানে কাজ শুরু হবে।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাঃ রনী খাতুন জানান, চর দেবে যাওয়ার ঘটনাটি আমরা খতিয়ে দেখছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয়দের সচেতন থাকতে বলা হয়েছে।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2025
Theme Customized By BreakingNews