ভালোবাসার টানে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের ময়নাগুড়ি কলেজের বিএ অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী রিংকি বেগম। তবে শেষ পর্যন্ত তার এই যাত্রা পরিণত হয় এক অপ্রিয় অভিজ্ঞতায়। আজ ১৩ সেপ্টেম্বর শনিবার তাকে বিজিবি এবং বিএসএফ উপস্থিতিতে এবং দুই পরিবারের সমন্বয়ে ভারতের ফেরত নেওয়া হয়।
গত শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) কলেজ থেকে বের হওয়ার পর রবি নামের এক যুবকের প্ররোচনায় সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন রিংকি। পরে রবির পরিবারের সদস্যরা তাকে নিজেদের ছেলের পরিচয়ে নিয়ে যান এবং বাংলাদেশে থাকা এক আত্মীয়ের কাছে হস্তান্তর করেন।
রিংকি ও তার পরিবার অভিযোগ করেছেন, রবি প্রকৃতপক্ষে তাকে ভালোবাসার কারণে নয়, বরং বিয়ের নামে ফুঁসলিয়ে বাংলাদেশে এনে পাচারের উদ্দেশ্যেই এ পরিকল্পনা করেছিলেন।
ভারতের করায়েরি গ্রামের বাসিন্দা রিয়া পারভিন (ছদ্মনাম) জানান,“আমার অন্যত্র বিয়ের প্রস্তাব ঠিক হওয়ায় রবি প্রতারণার আশ্রয় নেয়। সে নিজে বা তার পরিবার সত্যিই আমাকে বিয়ে করতে চাইতো না। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন।”
রিংকি আরও জানান,“রবি ও তার পরিবার প্রথমে আমাকে বিয়ের কথা বলে সীমান্তে নিয়ে আসে। কিন্তু পরে দেখা যায় তারা আসলে আমাকে চায় না। যদি সত্যি বিয়ে করার ইচ্ছা থাকত, তাহলে পরিবার চাপ দিলেও সে পিছিয়ে যেত না।”
ঘটনার পর স্থানীয় মানুষ সন্দেহজনক কার্যকলাপ টের পেয়ে রিংকিকে আটক করে এবং পরে পাটগ্রামের স্থানীয় জনগণ মাধ্যমে তাকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু ঘটনার পর থেকে রবি পলাতক।এ ঘটনায় রিংকির অভিযোগ, রবি হয়তো মানবপাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত।
তার ভাষায়,“যদি সত্যিই আমাকে বিয়ে করতে চাইত, তবে লুকোচুরি করতো না। আমার মনে হয় ওরা পাচারের জন্যই আমাকে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে।”এখন রিংকি প্রশাসনের কাছে দ্রুত আইনি সুরাহা চান।
তিনি বলেন,“আমাকে প্রতারণা করে সীমান্ত পার করানো হয়েছে। রাষ্ট্রের কাছে আমার আবেদন, যেন এ ঘটনার সঠিক বিচার হয়।”
এদিকে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। রবি ও তার সহযোগীদের খোঁজে অভিযান চলছে।