সর্বশেষ “State of the Rhino 2025” প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে গণ্ডারের মোট সংখ্যা এখন প্রায় ২৬ হাজার ৭০০। এর মধ্যে ভারতের আসাম ও নেপালের তরাই অঞ্চলে পাওয়া যায় এক শৃঙ্গ গণ্ডার (Greater One-Horned Rhino)। বর্তমানে এদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৭৫, যা ২০২২ সালের তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি।
আফ্রিকার কালো গণ্ডারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬ হাজার ৭৮৮। তবে সাদা গণ্ডারের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। সবচেয়ে বিপন্ন প্রজাতি জাভান গণ্ডারের সংখ্যা কমে মাত্র ৫০টির মতো রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গণ্ডার পাচার, আবাসস্থল ধ্বংস এবং জিনগত বৈচিত্র্যের সংকট এখনও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে। অনেক দেশে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাচার রোধের চেষ্টা চলছে—ড্রোন নজরদারি, AI মনিটরিং এবং গণ্ডারের শিং অপসারণ (dehorning) এর মতো পদ্ধতি গ্রহণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে একসময় গণ্ডারের উপস্থিতি থাকলেও বর্তমানে কোনো বন্য গণ্ডার নেই। ইতিহাস অনুযায়ী সিলেট, ময়মনসিংহ ও বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলে গণ্ডারের দেখা মিলত। এখন এ প্রাণী শুধুমাত্র বাংলাদেশি সীমান্তঘেঁষা ভারতের কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্ক ও নেপালের চিতওয়ান অভয়ারণ্যে টিকে আছে।
বিশ্ব গণ্ডার দিবসে নানা দেশ সচেতনতামূলক র্যালি, কর্মশালা ও জনসচেতনতা ক্যাম্পেইন আয়োজন করেছে। পরিবেশবিদদের মতে, গণ্ডার শুধু একটি বন্যপ্রাণী নয়, এটি বনভূমি ও তৃণভূমির ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই গণ্ডার সংরক্ষণ মানে পুরো বাস্তুতন্ত্রকে রক্ষা করা।