কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মেসের মিল নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় ন্যায়বিচার ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মো. সজিব ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে উপস্থিত হয়ে তিনি এ অভিযোগ জমা দেন। অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, কুষ্টিয়ার পিটিআই রোড সংলগ্ন একটি মেসে তিনি থাকেন। সেখানে মাসিক ৪৫টি মিল নির্ধারিত থাকলেও গত মাসে দুর্গাপূজার ছুটিতে অনেক শিক্ষার্থী বাড়ি চলে যাওয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে মিলের সংখ্যা ৪৫ থেকে কমিয়ে ৪০ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
এ সিদ্ধান্তে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম রোহান দ্বিমত পোষণ করেন।
৩ অক্টোবর রাতে সজিব ও তার রুমমেট নয়ন (এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড জিওগ্রাফি, ২০২১-২২) বিষয়টি নিয়ে রোহানের সাথে কথা বলতে গেলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রোহান উত্তেজিত হয়ে তাদের ওপর হামলা চালান। এতে নয়ন মাথায় আঘাত পান এবং সজিবের চোখে গুরুতর আঘাত লাগে।
অভিযোগে সজিব আরও উল্লেখ করেন, তাকে চোখে-মুখে একাধিকবার আঘাত করার পাশাপাশি টাইলসের কোনা দিয়ে হাত-পায়ে আঘাত করা হয়। এমনকি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকার পরও রোহান তাকে অমানবিকভাবে নির্যাতন করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।
ঘটনার এক পর্যায়ে মেস মালিক ও কয়েকজন শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে রোহান তাদের সঙ্গেও অসদাচরণ ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। পরে সহপাঠীরা সজিব ও নয়নকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।অভিযোগপত্রে সজিব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে হামলাকারীর বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার পিটিআই রোডের একটি মেসে মিল রেট নিয়ে সিনিয়র-জুনিয়রের দ্বন্দ্বের জেরে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে মেস মালিকসহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম রোহান, একই বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের সজীব ইসলাম এবং এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড জিওগ্রাফি বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী হাসিবুজ্জামান নয়ন আহত হন।