মেটা বিবরণ (Meta Description):–
পবিত্র জুমার দিনে দরুদ পাঠের রয়েছে অসীম ফজিলত। একবার দরুদ পাঠ করলে আল্লাহ তাআলা দশটি রহমত বর্ষণ করেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জুমার দিন নবীর ওপর দরুদ পাঠ করলে তা সরাসরি তাঁর কাছে পেশ করা হয়।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন—
“নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা নবীর প্রতি দরুদ পাঠ করেন। হে ঈমানদাররা! তোমরাও তাঁর প্রতি দরুদ পাঠ করো এবং প্রচুর সালাম পাঠ করো।”
(সূরা আহজাব, আয়াত: ৫৬)
ইসলামী ব্যাখ্যা অনুযায়ী, আল্লাহ তাআলার দরুদ মানে নবীর প্রশংসা করা, আর ফেরেশতাদের দরুদ মানে নবীর জন্য বরকতের দোয়া করা। তাই মুসলমানদের জন্য দরুদ পাঠ করা একটি উচ্চ মর্যাদার ইবাদত।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,
“যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠ করে, আল্লাহ তাআলা তার প্রতি দশটি রহমত বর্ষণ করেন।”
(সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৪৮৫)
অর্থাৎ, প্রতিটি দরুদ পাঠই আল্লাহর রহমত অর্জনের এক অনন্য সুযোগ।
জুমার দিন ইসলামে সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন—
“তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠতম দিন হলো জুমার দিন। এই দিনেই আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছিল, এই দিনেই তাঁর মৃত্যু হয়, এই দিনেই শিঙায় ফুঁৎকার দেওয়া হবে এবং এই দিনেই মহা বিপর্যয় ঘটবে।
তাই তোমরা এই দিনে আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো, কারণ তোমাদের দরুদ আমার কাছে পেশ করা হয়।”
(আবু দাউদ: ১০৪৭, মিশকাত আলবানী: হা. নং ১৩৬১)
সাহাবিরা জানতে চাইলে নবী (সা.) বলেন, “আল্লাহ তাআলা মাটির জন্য নবীদের দেহ ভক্ষণ করা হারাম করেছেন।”
আল্লাহর রহমত অর্জন: একবার দরুদে দশটি রহমত নাজিল হয়।
গুনাহ মাফের সুযোগ: জুমার দিনে দরুদ পাঠ করলে ৮০ বছরের গুনাহ ক্ষমা হতে পারে।
রাসুল (সা.)-এর নিকটতা: দরুদ পাঠকারী কেয়ামতের দিন নবীর সবচেয়ে কাছাকাছি থাকবেন।
দোয়া কবুলের সময়: জুমার বিশেষ মুহূর্তে দরুদ পাঠ দোয়া কবুলের সম্ভাবনা বাড়ায়।
জুমার দিন বরকতের দিন। এ দিনে নবীর ওপর দরুদ পাঠ করা শুধু ইবাদত নয়—এটি আল্লাহর রহমত, গুনাহ মাফ ও রাসুল (সা.)-এর ভালোবাসা অর্জনের পথ।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,
“যে ব্যক্তি আমার ওপর বেশি দরুদ পাঠ করবে, সে কেয়ামতের দিন আমার সবচেয়ে নিকটে থাকবে।”
(তিরমিজি)
তাই জুমার দিনে সময় বের করে নবীর ওপর দরুদ পাঠ করা—প্রতিটি মুসলমানের সৌভাগ্যের কাজ।