বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাবিত গণভোটের সময় নির্ধারণে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য না হওয়ায় সরকার একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। সরকারের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, আগামী শুক্রবার জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পর এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর একটি অংশ—যেমন বিএনপি—চায় জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট অনুষ্ঠিত হোক। অন্যদিকে জামায়াত ও এনসিপি জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোটের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। বুধবারের বৈঠকেও এ ইস্যুতে ঐকমত্যে পৌঁছানো না যাওয়ায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ভোটের দিনক্ষণ নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারের ওপর ন্যস্ত করে।
সরকারি সূত্র জানায়, আর্থিক সাশ্রয়, প্রশাসনিক প্রস্তুতি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিবেচনায় একসঙ্গে ভোট আয়োজনের পক্ষে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচন কমিশনও অনানুষ্ঠানিকভাবে এ প্রস্তাবে সবুজ সংকেত দিয়েছে। কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট অনুষ্ঠিত হলে অতিরিক্ত ব্যয় ও প্রশাসনিক ঝুঁকি কমবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে, তবে নির্বাচন কমিশনকে দ্বৈত দায়িত্ব পালনে বাড়তি সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। ভোটারদের বিভ্রান্তি এড়াতেও ব্যাপক প্রচারণার প্রয়োজন হবে।
এদিকে ঐকমত্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে, শনিবার জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে পৃথক বৈঠকে দুই দলই জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট চাওয়ার দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে। বৈঠক শেষে কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসেন, যেখানে একই দিনে দুই ভোটের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আগামী শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এর পরপরই সরকার গণভোটের তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবে বলে সূত্র জানিয়েছে।