নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশের নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনকারী উদীয়মান প্রতিষ্ঠান ‘কৃষি ফুড’ তাদের নতুন পণ্য ‘হ্যানি স্যাচেট’ উন্মোচন করেছে। এই নতুন ধারণার মধু প্যাকেটের মাধ্যমে তারা মধু খাওয়াকে করছে আরও সহজ, স্বাস্থ্যকর ও বহনযোগ্য।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর ধানমন্ডির লিং জিং চাইনিজ রেস্টুরেন্টে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “তরুণ উদ্যোক্তারা অল্প মূলধন নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চান, কিন্তু লাইসেন্স পেতে ২০–৩০ লাখ টাকা খরচ হলে তারা নিরুৎসাহিত হন। প্রশাসনের উচিত ব্যবসা করার পথ সহজ করা।”
তিনি আরও বলেন, বড় শিল্পগোষ্ঠীগুলোর প্রভাব ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করছে। “সরকারের নীতিমালা এমন হওয়া উচিত যাতে বড় কোম্পানিগুলো ছোট ব্যবসাকে সহযোগিতা করে, প্রতিযোগিতায় ধ্বংস না করে,” যোগ করেন তিনি।
খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রে গ্রাহকের বিশ্বাস ধরে রাখার গুরুত্বও তুলে ধরেন উপাচার্য। তার ভাষায়, “বিশ্বাস একবার হারালে তা ফেরানো কঠিন। কৃষির মতো ব্র্যান্ডগুলো যেন সেই আস্থা অটুট রাখে, এটাই কাম্য।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা, বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক এমডি. কাইয়ুম হোসেন, পুষ্টিবিদ সুমাইয়া শিলা, বিএসটিআই পরীক্ষক মো. মেহেদী হাসান এবং বাংলাদেশের মধু বিশেষজ্ঞ সৈয়দ মোহাম্মদ মইনুল আনোয়ার।
সৈয়দ মইনুল আনোয়ার বলেন, “মধুর ভেজাল পরীক্ষায় আগুন, পানি বা পিপড়া পরীক্ষার মতো প্রচলিত পদ্ধতিগুলো বৈজ্ঞানিক নয়; এসব সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।”
কৃষি ফুডের উদ্যোক্তারা জানান, ‘হ্যানি স্যাচেট’ শুধু একটি পণ্য নয়, বরং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের এক নতুন ধারা। এই ছোট প্যাকেট সহজে ব্যাগ বা টিফিনবক্সে রাখা যায়, যা দৈনন্দিন জীবনে নিরাপদ মধু খাওয়ার সুযোগ করে দেবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষি টিমের উদ্যোক্তা বাপ্পি ও সজল-কে শুভকামনা জানিয়ে উপাচার্য ড. ইসমাইল বলেন, “বিশ্বাস, পরিশ্রম ও সহযোগিতা—এই তিনটি গুণ থাকলে বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তারা বিশ্ববাজারেও জায়গা করে নিতে পারবে।”