বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থয়ের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির রায় ঘোষণার আগে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার দিন-রাতজুড়ে ঢাকায় অন্তত এক ডজন স্থানে বোমাবাজি ও নাশকতার খবর পাওয়া যায়, যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনে।
রবিবার রাত ৯টার দিকে সেন্ট্রাল রোডে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বাসার সামনে দু’টি ককটেল নিক্ষেপ করে দুই মোটরসাইকেল আরোহী। একই সময়ে বাংলামটরের রূপায়ণ টাওয়ারে এনসিপি কার্যালয়ের সামনে, সেগুনবাগিচা কর অঞ্চল-১০, এবং দারুসসালাম এলাকার একটি পেট্রোল পাম্পের পেছনেও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। মতিঝিল, কারওয়ান বাজার ও ফার্মগেটেও বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে, যার একটি চলন্ত ট্রেন লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা হয়। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ডাম্পিংয়ে থাকা দুটি লেগুনায় আগুন দেওয়া হয়।
দিবাগত রাত ২টার দিকে মহাখালীর তিতুমীর কলেজ গেটের সামনে ও আমতলী মোড়ে আবারও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের সড়কে একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
ঢাকার বাইরে কিশোরগঞ্জে গ্রামীণ ব্যাংকের একটি শাখার নিচতলায় আগুন ধরানো হলেও আশপাশের লোকজন দ্রুত তা নেভান। পাকুন্দিয়ায় সড়কের ওপর গাছ ফেলে যান চলাচল বন্ধ করা হয়। গাজীপুর টঙ্গীর বিআরটি ফ্লাইওভার থেকে সড়কে ককটেল নিক্ষেপে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়, যদিও কেউ হতাহত হয়নি। ধামরাইয়ে দুটি মোটরসাইকেলে এসে বাসে আগুন দেয় তিনজন, পরে ফায়ার সার্ভিস আগুন নিভিয়ে ফেলে। মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তিন দফা ককটেল বিস্ফোরণে দুই রিকশাচালক আহত হন।
এ সব ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে আলামত সংগ্রহ করে এবং সন্দেহভাজনদের খুঁজতে অভিযান শুরু করে। রাতেই ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী নির্দেশ দেন—পুলিশ বা সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ বা গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগ করলে হামলাকারীকে গুলি করা হবে।