জুলাই–আগস্ট ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান দমনের সময় সংঘটিত সহিংসতাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযোগ গঠন করেছে। ট্রাইব্যুনালের তদন্ত ও প্রসিকিউশনের দাখিলকৃত নথিতে প্রতিটি অভিযোগে তার প্রত্যক্ষ পরিকল্পনা, নির্দেশ বা মদদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
১৪ জুলাই গণভবনে দেওয়া এক বক্তব্যে শেখ হাসিনা উসকানিমূলক ভাষণ দেন, যার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারি দলীয় সমর্থকদের হামলা, হত্যার চেষ্টা ও নির্যাতনে উৎসাহিত করা হয়েছিল বলে প্রসিকিউশনের অভিযোগ।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা ফোনে হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন, যার ফলে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী হামলা চালানো হয়।
অভিযোগে বলা হয়, আবু সাঈদ নামে এক প্রতিবাদকর্মীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করতে শেখ হাসিনা ও অন্য আসামিরা ভূমিকা রাখেন। প্রসিকিউশন ঘটনাটিকে সুস্পষ্ট মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করছে।
৫ আগস্ট ২০২৪-এ ঢাকার চানখারপুল এলাকায় ছয়জন নিরস্ত্র প্রতিবাদকারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়, যা প্রসিকিউশনের মতে শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমতি ও পরিকল্পনার অংশ ছিল।
একই দিনে আশুলিয়ায় আরও ছয়জনকে গুলি করে হত্যার পর তাদের দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে তদন্তকারীরা মানবতাবিরোধী অপরাধের সবচেয়ে নৃশংস উদাহরণ一 হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
প্রসিকিউশন বলছে, ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন নয়; বরং পরিকল্পিত রাষ্ট্রীয় দমননীতির অংশ হিসেবে সংঘটিত হয়েছিল। অন্যদিকে অভিযুক্তরা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।