বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক।
পলাতক শেখ হাসিনাকে গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) জুলাই অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে আমৃত্যু কারাদণ্ডসহ মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়ায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে ৫ বছরের দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের জুলাই মাসে ‘২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’ সংক্রান্ত বক্তব্যের জন্য আদালত অবমাননার অভিযোগে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলমান তিনটি মামলার মধ্যে গুমের দুটি মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করা হয়েছে। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে আলোচিত গুমের ঘটনায় চলতি বছরের ৮ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল ফরমাল চার্জ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সে সময় জানান, র্যাব ও ডিজিএফআইয়ের কিছু বিপথগামী সদস্যের মাধ্যমে ভিন্নমতাবলম্বী রাজনৈতিক কর্মী, সাংবাদিক, ব্লগারকে আটক, নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের ভিত্তিতে এই দুটি ফরমাল চার্জ দাখিল করা হয়।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) এই দুই মামলার কয়েকজন আসামি সেনা কর্মকর্তা আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মামলা দুটির পরবর্তী শুনানি হবে ২৩ নভেম্বর।
এছাড়া, ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ২১ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা রয়েছে। এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বাড়িয়ে ১২ জানুয়ারি ধার্য করা হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে এ অভিযোগটি আনা হয়েছিল।