বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক।
সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় প্রদীপ কুমার দাশকে হত্যাকাণ্ডের ‘মাস্টারমাইন্ড’ ও মূল পরিকল্পনাকারী বলে উল্লেখ করে হাইকোর্ট তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে। একই সাথে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড ও আরও ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড নিশ্চিত করা হয়েছে। ২ জুন ঘোষিত ৩৭৮ পৃষ্ঠার এই রায় ২৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
রায়ে বলা হয়, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রদীপ সিনহার বুক ও গলায় জুতা পরা পা দিয়ে আঘাত ও চাপ প্রয়োগ করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। প্রসিকিউশনের সাক্ষ্য, জবানবন্দি ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে এ অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। অন্যদিকে লিয়াকত আলী পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সিনহাকে চারটি গুলি করেন, যেগুলোর আঘাতেই তার মৃত্যু ঘটে।
হাইকোর্ট জানায়, বিচারিক আদালত দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় সঠিকভাবে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করেছেন এবং রায়ে হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ছয়জনের ক্ষেত্রে হত্যাকাণ্ডে ষড়যন্ত্র, সহায়তা ও সাধারণ অভিপ্রায়ের অভিযোগও প্রমাণিত হয়েছে।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা নিহত হন। ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি Cox’s Bazar আদালত প্রথম রায় ঘোষণা করে। পরবর্তী পর্যায়ে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে এবং আসামিরাও আপিল করেন। হাইকোর্ট রায় এখন বহাল রেখেছে; আসামিপক্ষ সত্যায়িত কপি পেলে আপিল বিভাগে আপিল করবে।