বাঘারপাড়ার জামদিয়ায় বসুন্দিয়া-ধল্গ্রাম সড়কে যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক নিহত হয়েছেন। এসময় আরোও কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। তবে গুরুতর আহত হয়েছেন ৫ জন।
নিহত বাস চালক মনির হোসেন ( ৫০ )। তিনি নড়াইলের বড়দিয়া মহিরণ গ্রামের বাসিন্দা।
আহতরা হলেন-উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের আলতাফ মোল্যার ছেলে জুয়েল হোসেন, চাড়াভিটার মহর আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম, নরাইলের কুমুর কুমারের ছেলে প্রভাকর, অভয়নগরের নওয়াপাড়ার মনির আলী,নওয়াপাড়ার শাহিদুল ইসলামের দুই ছেলে বুয়েটের ছাত্র আশফাক আবির ও মাশফিক আবিদ ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার(২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে খুলনা থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস (যশোর-ব—১১০১৩৫) নড়াইলের কালনা যাচ্ছিল। এসময় যশোরের বাঘারপাড়ার চাড়াভিটা থেকে তাজ আনন্দ পরিবহনের একটি বাস(ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৫৯৩৩) খুলনার উদ্যেশ্যে আসার পথে বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া এলাকায় পৌছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষে বাস দু;টির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। দুর্ঘটনায় বাসের চালকসহ অনেকে আহত হন।
দূর্ঘটনার খবর পেয়ে , স্থানীয় ভিটাবল্যা ক্যাম্প পুলিশ, বাঘারপাড়া থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় । আহতদের কেউ কেউ নিজ থেকে হাসপাতালে চলে যান।
আহতদের মধ্যে বাস চালক মনির হোসেন কে খুলনা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। বাস যাত্রী মনির আলীকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। বাকিদের বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
বাঘারপাড়া থানার ওসি ফিরোজ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।