1. bdtelegraph24@gmail.com : Bdtelegraph Bangla :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. islam.azizul93@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
অভয়নগরে স্কুলে গিয়ে টিভি সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পূর্বপরিচিতের লালসার শিকার শিশু, গ্রেফতার গাড়িচালক হামাসের সঙ্গে মার্কিন বৈঠক, ক্ষুব্ধ ইসরাইল মাদারীপুরে চাঁদাবাজ সাইফুল খুন, বাঁচাতে গিয়ে দুই ভাই নিহত ভারতের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়: নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে তৃতীয় শিরোপা শ্যামনগর থানা পুলিশের বিশেষ সতর্ক বার্তা ধোপাদী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হলেন মফিজুর রহমান বাঘারপাড়ায় আগুনে পুড়ে ছাই দিনমজুরের বাড়িসহ গবাদিপশু বাঘারপাড়ায় ছাগল চোর চক্রের দুই সদস্য আটক অভয়নগরে বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেলো নসিমন চালকের কার্নিশে ঝুলন্ত ব্যক্তিকে গুলি, অভিযুক্ত তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

অভয়নগরে স্কুলে গিয়ে টিভি সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন

  • সর্বশেষ আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২১
  • ৩৫৫ জন খবরটি পড়েছেন
অভয়নগরে স্কুলে গিয়ে চাদাঁ দাবি করা সাংবাদিক
অভয়নগরে স্কুলে গিয়ে চাদাঁ দাবি করা সাংবাদিক

যশোরের অভয়নগরে স্কুলে গিয়ে টিভিসহ বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে শিক্ষকদের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগে উপজেলা শিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা শিক্ষা অফিস বিষয়টি নিশ্চিত করে।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার কামরুন নাহার হাসিনা বানু ও অরুপ কুমার নস্কার।

জানাগেছে, গত মঙ্গলবার এইচএম জুয়েল রানা ও মিঠুন দত্ত নামে দুইজন ব্যক্তি উপজেলার ডুমুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে টিভিসহ বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে শিক্ষিকা ফিরোজা খাতুনকে নানা ধরণের প্রশ্ন করাসহ চাঁদা দাবি করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর সরেজমিনে স্কুলটি পরিদর্শনসহ শিক্ষকদের সাথে কথা বলেন।

বিষয়গুলো শোনার পর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্দেশে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. মাসুদ করিম বিষয়টির সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর অতি দ্রæত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও উপজেলা শিক্ষা অফিসসূত্রে জানা যায়।

বিষয়টি সম্পর্কে ওই সহকারী শিক্ষিকা মোসা: ফিরোজা খাতুন বলেন, গত মঙ্গলবার ওই দুইজন সাংবাদিক আমার বিদ্যালয়ে এসে স্কুলের কম্পিউটারটি কোথায়? তা জানতে চাইলে আমি বলি প্রধান শিক্ষক কম্পিউটারটি মেরামত করার জন্য আমার কাছে দিয়েছেন। আমার শারীরিক অসুস্থতার কারণে ওই কম্পিউটারটি এখনও বাজারে নিয়ে মেরামত করাতে পারিনি। এই বলার পর ওরা ক্যামেরা বের করে আমার ছবি তুলে টিভির মতো করে তা ভিডিও করলেন এবং বললেন আজ রাত ৮টার সংবাদে আপনাকে ৭১টিভি, সময় টিভি, দিগন্ত টিভিতে দেখানো হবে।

এসময় একজন সাংবাদিক মোবাইল ফোনে অপর একজনকে বলতে থাকেন, আমরা এইমাত্র একজন ম্যাডামকে নিয়ে একটি ভিডিও পাঠিয়েছি সেটাটি পেয়েছেন? এক পর্যায়ে তারা বলেন, “আপনার চাকুরির ক্ষতি হবে, এমনকি আপনার চাকুরিও চলে যেতে পারে।” এভাবে আমাকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাতে লাগলেন, আমি তাদেরকে বলি ভাই আপনারা আমার ক্ষতি করবেননা, আমাকে টিভিতে দেখাবেন না।

তখন তারা আমাকে বললেন তাহলে এটা বন্ধ করতে হলে উর্ধতন কর্মকর্তাদের টাকা দিতে হবে। তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কত টাকা লাগবে? তারা আমাকে বললেন অনেক টাকা। এসময় আমার কাছে থাকা ১শ’ টাকা আর অন্যান্য ম্যাডামরা আমাকে ৪শ’ টাকা জোগাড় করে দিলেন। মোট ৫শ’ টাকা আমি ওদেরকে দিতে গেলাম। কিন্তু ওরা আমাকে বললো এত বড় ব্যাপার এই সামান্য টাকায় হবেনা। আমরা আগামীকাল আবার আসবো এই বলে তারা ওই দিন চলে গেলেন।

পরের দিন বুধবার তারা আবারও আমাদের স্কুলে আসলেন। এসে তারা প্রধান শিক্ষকের (পলাশ মল্লিক) কাছে উত্তেজিতভাবে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে লাগলেন এবং বিভিন্ন কাজের ভাউচার দেখতে চাইলে, প্রধান শিক্ষক সকল কাজের ভাউচার তাদের দেখাচ্ছিলেন। এসময় তারা প্রধান শিক্ষককে বিভিন্ন প্রকার হয়রানীমুলক প্রশ্ন করতে থাকেন।

এসময় অত্র স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কমলেশ টিকাদার তাদের কাছে জানতে চান, আপনারা এভাবে স্কুলের কাগজপত্র দেখছেন আবার অহেতুক প্রশ্ন করছেন? আপনারা কে? এসময় তারা কমলেশ টিকাদারের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তার ছবি তুলতে গেলে, কমলেশ টিকাদারও মোবাইল ফোনে তাদের ছবি তুলতে যান। এক পর্যায়ে বিষয়টি ওখানে মিমাংসা হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পলাশ মল্লিক বলেন, ঘটনাটি সত্য, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিত আবেদন পাঠিয়েছি।

এসব ঘটনা জানার পর উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর মঙ্গলবার সরেজমিনে তিনি ওই স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকদের কাছে ঘটনার বিবরণ শোনেন এবং তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews