1. bdtelegraph24@gmail.com : Bdtelegraph Bangla :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. islam.azizul93@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে কলেজ কর্মচারী ৯মাস ধরে লাপাত্তা! - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এম আমিনুল ইসলামের পদত্যাগ যশোরে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা: অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেলেন তারেক রহমান কোহলির ভবিষ্যদ্বাণী, বিশ্ব ক্রিকেট শাসন করবে ভারত পূর্বপরিচিতের লালসার শিকার শিশু, গ্রেফতার গাড়িচালক হামাসের সঙ্গে মার্কিন বৈঠক, ক্ষুব্ধ ইসরাইল মাদারীপুরে চাঁদাবাজ সাইফুল খুন, বাঁচাতে গিয়ে দুই ভাই নিহত ভারতের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়: নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে তৃতীয় শিরোপা শ্যামনগর থানা পুলিশের বিশেষ সতর্ক বার্তা ধোপাদী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হলেন মফিজুর রহমান বাঘারপাড়ায় আগুনে পুড়ে ছাই দিনমজুরের বাড়িসহ গবাদিপশু

লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে কলেজ কর্মচারী ৯মাস ধরে লাপাত্তা!

  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ৩ নভেম্বর, ২০২১
  • ৬৬৭ জন খবরটি পড়েছেন


লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দিয়েছেন নওয়াপাড়া মহিলা কলেজের অফিস সহায়ক মহিন রায়। এনজিও, ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পঁচিশ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

দীর্ঘ আট মাস ধরে তার কোন হদিস মিলছে না। কলেজ ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার স্থায়ী ঠিকানায় যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় নোটিশ পাঠিয়েছেন। এ ঘটনায় অভয়নগর ও মণিরামপুরের পাওনাদারদের মধ্যে উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলার দুর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের ঝিকরডাঙ্গা গ্রামের মহাদেব রায়ের পুত্র মহিন রায় নওয়াপাড়া মহিলা কলেজে গত ১৪/৮/২০১০ইং তারিখে অফিস সহায়ক পদে চাকুরীতে যোগ দেন। যোগদানের পর তিনি তার ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে এলাকার অনেককেই আকৃষ্ট করে ফেলেন। এই সুবাদে তিনি বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান থেকে লাখ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন।

তার এই লোন নেয়ার ঘটনাগুলো অপ্রকাশিত থাকে। সুকৌশলে গোপনে টাকা ধার নিতে নিতে টাকার পরিমাণ বেশি হতে থাকে। বিশেষ করে স্থানীয় সোনালী ব্যাংক, নওয়াপাড়া শাখা থেকে আড়াই লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। একইভাবে সরখোলার একটি সমিতি খেকে ৩লাখ টাকা লোন নেন। এছাড়া বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মালামাল বাকিতে নিতে থাকেন।

নওয়াপাড়ার সরদার বস্ত্রালয়, শিক্ষক সেলিম, কর্মচারী লতিফা খাতুন, শিক্ষক বিষ্ণুপদ শীলসহ অসংখ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা ধার নেন নানা কৌশলে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার এক সহকর্মী জানান, ধার ও ঋণের পরিমাণ ২৫লক্ষাধিক টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

ব্যাংক থেকেও বারবার নোটিশ পাঠানোর পরও মহিন রায়ের কোনো সাড়া মিলছেনা। তার স্ত্রী প্রিয়া রানী রায় ও কন্যা মিষ্টিকে নিয়ে গৃহত্যাগ করেছেন বলে সকলে সন্দেহ করছেন। কলেজে চাকুরী করার সুবাদে তার পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে নওয়াপাড়া ও মণিরামপুরের অসংখ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ ও টাকা ধার নিয়েছেন।

কলেজে কর্মরত অফিস সহায়ক লতিফা খাতুন জানান,“আমার কাছ থেকে ৬-৭ মাস আগে ২লাখ নিয়ে আর ফেরত দেননি। তিনি বিপদের কথা বলে এ টাকা নিয়েছিলেন।” তাছাড়া সপরিবারে নিরুদ্দেশ হওয়ার কারণে তিনি টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন।

সোনালী ব্যাংক নওয়াপাড়া শাখার ম্যানেজার এএসএম শামছুদ্দীন আহমেদ জানান, আড়াই লাখ টাকা লোন নিয়ে তিনি কিছু পরিশোধ করেছেন। বাকি টাকা আদায়ে তার স্থায়ী ঠিকানায় নোটিশ দেয়া হয়, কিন্তু তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। তার বিরুদ্ধে আইনী প্রক্রিয়া চলছে।

নওয়াপাড়া মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ পাল জানান, তিনবার তার স্থায়ী ঠিকানায় নোটিশ পাঠানো হলেও তা ফেরত এসেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। গভর্ণিং বডির মিটিং হলে তার চাকুরীর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews