ভারতের অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (ওআরএফ) এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্থনীতির চারটি চলমান সংকট চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রথমত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে, দ্বিতীয়ত রেমিট্যান্সের পরিমাণ কমছে এবং তৃতীয়ত বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। আর এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জ্বালানি সংকট, যার সমাধান সহসাই হবে বলে মনে করা যাচ্ছে না। তবে এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের যে আন্তর্জাতিক ঋণ নিতে যাচ্ছে, সেই ঋণ পরিশোধ ব্যবস্থাপনায় সাফল্য এলেই এসব সংকট কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করে বলা হয়েছে, গত এক দশকে বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতির একটিতে রূপান্তরিত হয়েছে। এর সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে দারিদ্র্য নিরসনের একটি মডেল, যা সারা বিশে^ অনন্য উন্নয়নের উদাহরণ হয়ে গেছে।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশ ছিলো বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ। ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে বৃহৎ আকারে বাণিজ্য উদারীকরণের পথে যায় দেশটি। ২০০০ এর প্রথম দশকে উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা দেশের দারিদ্র্য পরিস্থিতিকে অনেকাংশে প্রশমিত করেছে। ১৯৯১ সালে দারিদ্র ছিলো ৪৩.৫ শতাংশ, সেটি ২০১৬ সালে ১৪.৩ শতাংশে নেমে আসে। তা সত্ত্বেও ১৯৮০ সাল থেকে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক বৈষম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২১ সাল পর্যন্ত জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশ দেশের জাতীয় আয়ের ১৬.৩ শতাংশ ধারণ করে। আমাদেরসময় ডটকম