ত্রাণের জন্য হাহাকার দেখলেও, ত্রাণ দেয়ার প্রতিযোগিতা এই প্রথম দেখলো বাংলাদেশ। বদলে যাওয়া বাংলাদেশের এক অনন্য চিত্র যেন টিএসসি৷ অষ্টম দিনেও নগদ অর্থসহ ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। অংশ নিচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও জেলার সংগঠনগুলো।
দেশে বন্যা হলেই ত্রাণের জন্য হাহাকার, দীর্ঘ লাইন আর না পাওয়ার আক্ষেপ বহু শুনেছে বাংলাদেশ। তবে এবারের বন্যায় ভিন্নচিত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসিতে)। জমা পড়েছে ত্রাণের স্তুপ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণত্রাণ কর্মসূচির অষ্টম দিনেও নগদ অর্থসহ ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে টিএসসিতে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সহায়তায় এগিয়ে আসছেন সব বয়সী মানুষ। আসছেন শারীরিকভাবে অক্ষমরাও।
বৃহস্পতিবার ব্যক্তিগত উদ্যোগের পাশাপাশি ত্রাণ নিয়ে হাজির হচ্ছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান। আগতরা বলছেন, ছোট ছোট গ্রুপ না হয়ে সবাই একযোগে সম্ভব দুর্যোগ মোকাবিলা করা।
বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি ছুঁয়ে গেছে বিদেশিদের হৃদয়ও। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এলাকার জন্য একটি চায়না প্রতিষ্ঠান নিয়ে এসেছে ১০টি সোলার প্যানেল।
ত্রাণ সংগ্রহ করা শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক লুৎফর রহমান বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রয়োজন গণরান্নার জন্য ভারি খাবারের দ্রব্যাদি এবং নগদ টাকা। পানি নেমে যাওয়ার পর ঘর নির্মাণসহ তাদের স্বাবলম্বী করতে এখন টাকা নেয়া হচ্ছে।
বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্তই ত্রাণ সংগ্রহ চলবে বলে জানান তিনি। সময় নিউজ