প্রতিনিধি, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)।
বিএনপি নেতার প্রহরায় ৯৮ দিন পর ইউনিয়ন পরিষদের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেছেন আওয়ামীলীগ নেতা উৎপল জোয়ারদার। ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ঘটনাটি ঘটে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদে। উৎপল জোয়ারদার উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। তাকে প্রহরা দিয়ে পরিষদে নিয়ে যান শ্যামনগর উপজেলা মৎস্যজীবি দলের সাবেক আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক।
প্রত্যক্ষদর্শীসহ স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা জানায় মঙ্গলবার সকাল সাতটা ৪৪ মিনিটে উৎপল জোয়ারদার পরিষদে প্রবেশ করেন। এসময় উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মুনসুর আলী সরদারের ছেলে বিএনপি নেতা আব্দুর রাজ্জাক উক্ত আওয়ামীলীগ নেতার সাথে ছিলেন। একপর্যায়ে বিএনপি ও জামায়াতের কিছু লোক জড়ো হয়ে উৎপলকে অবরুদ্ধ করলে আব্দুর রাজ্জাক তাকে নিয়ে চলে যান।
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান উৎপল দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিগত দিনে এলাকায় রাজত্ব কায়েম করেছিল। ছাত্র-জনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময়ও তিনি বিতর্কিত সব মন্তব্য করেন। ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শেও নেতাকর্মীদের নামে মামলাসহ গ্রেপ্তারেও ভূমিকা ছিল তার। পলাতক অবস্থা থেকে আগের দিন বাড়িতে ফিরে তিনি মঙ্গলবার সকালে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান কবীরসহ কয়েক নেতাকে ‘ম্যানেজ’ করে তিনি এলাকায় ফিরেছেন বলেও দাবি ঐ যুবদল নেতার।
পরিষদের সচিব আছাদুল ফারুক জানান ডিডিএলজি স্যার উপস্থিতির বিষয়ে তথ্য চাওয়ায় খুব সকালে তিনি অফিস আসেন। একপর্যায়ে উৎপল জোয়ারদার এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করলে কিছু ব্যক্তি তাকে অবরুদ্ধ করেন।
উৎপল জোয়ারদার জানান তিনি অসুস্থ থাকায় বাইরে ছিলেন। সকালে পৌছে স্বাক্ষর করেছেন, এসময় তার সাথে কেউ না থাকলেও কিছু মানুষ হট্রগোল সৃষ্টি করায় আব্দুর রাজ্জাকের সাথে তিনি বাড়িতে চলে যান।
আব্দুর রাজ্জাক জানান উর্ধ্বতন নেতাদের নির্দেশে তিনি উৎপলকে পরিষদ থেকে নিরাপদে বাইরে নিয়ে যান। স্বাক্ষর বা পরিষদে নিয়ে আসার বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। তবে উর্দ্ধতন সেই নেতার বলতে তিনি অস্বীকৃতি জানান।