বাঘারপাড়া (যশোর) সংবাদদাতা । জারি সারি ভাটিয়ালির দেশ বাংলাদেশ। অঞ্চল ভেদে রয়েছে আলাদা আলাদা
লোকজ সংস্কৃতি। এসব হারানো লোকজ সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখতে যশোর ও নড়াইল জেলার
সীমান্তবর্তী অঞ্চল এগারোখানে পালিত হলো ‘বৈশাখী লোকনাট্য উৎসব’। বাংলাদেশ নাট্যকলা এবং
চলচ্চিত্র বিভাগ আয়োজিত এবং নড়াইল জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় ১মে থেকে ০৩মে চলা
তিন দিনের এ উৎসবের শেষ দিন ছিলো রোববার। উৎসবে সারি গান, হালই বা সায়ার গান এবং অষ্টক পালা
পরিবেশিত হয়।
০১মে এগারোখানের মালিয়াট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলা
এ বৈশাখী লোকনাট্য উৎসবের শুভ সূচনা করেন নড়াইল জেলা শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক রাকিবিল বারি।
এদিন সারি গান পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীরা। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন পরিবেশিত হয় হালই বা সায়ার
গান এবং তৃতীয় দিন বা উৎসবের শেষ দিন অষ্টক পালা মঞ্চস্থ্য করে বাকলী চিত্রকলা সংগীত একাডেমি।
যাত্রাপালার মাধ্যমে অষ্টক পালা পরিবেশিত হয়। যা রচিত হয় ধর্মীয় কাহিনী নিয়ে।
সমাপনী দিনে যশোর নড়াইল অঞ্চলের লোকজ সংস্কৃতি নিয়ে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক রমেশ চন্দ্র অধিকারী। তিনি বলেন, টিভি, রেডিও কি জিনিস তা জানতো না গ্রামের লোকজন। গ্রামাঞ্চলের এসব খেটে খাওয়া মানুষেরা লোকজ
সংস্কৃতির মাধ্যমেই চিত্ত বিনোদনের ঘাটতি মেটাতো। শ্রমজীবী মানুষদের শরীরে শক্তি যোগায় এসব
জারি সারি ভাটিয়ালি গানে। আধুনিক বিজ্ঞান এসে সেই গ্রামীণ সংস্কৃতি মুছে যেতে চলেছে।
স্থানীয় এসব সংস্কৃতি রক্ষায় সরকারের এ উদ্যোগের প্রশংসা করেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,দীপক অধিকারী, নির্মল বিশ্বাস, মিহির বিশ্বাস, বিলাশ সরকার, নীবিড় বিশ্বাস, নড়াইল জেলা শিল্পকলা একাডেমির অফিস সহকারি রফিকুল ইসলাম, চিত্রকলা সংগীত একাডেমির পরিচালক সুরঞ্জন গুপ্ত, প্রমুখ।