ঢাকার অপরাধজগতের কুখ্যাত নাম ও দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত সুব্রত বাইনকে কুষ্টিয়া শহর থেকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে কালীশংকরপুর এলাকায় প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী এক শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে সেনাবাহিনীর চৌকস দল সুব্রত বাইন এবং তার সহযোগী মোল্লা মাসুদকে আটক করে। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, চারটি ম্যাগাজিন ও ১০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযান শেষে দুজনকেই ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শিগগিরই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হতে পারে বলে জানিয়েছে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সুব্রত বাইনের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। ১৯৯১ সালে ঢাকার আগারগাঁওয়ে জাসদ ছাত্রলীগ নেতা মুরাদ হত্যার মধ্য দিয়ে তার অপরাধজীবনের সূচনা হয়।
২০০১ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায় ঢাকার অপরাধজগতের প্রভাবশালী ‘সেভেন স্টার’ গ্রুপের প্রধান হিসেবে তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়।
২০০৩ সালের দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান তীব্র হলে তিনি ভারতে পালিয়ে যান। এরপর একাধিকবার কলকাতা ও নেপালে গ্রেপ্তার হলেও বিভিন্নভাবে কারামুক্ত হয়ে ফের আত্মগোপন করেন। ২০১২ সালে নেপালের কারাগার থেকে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে পালিয়ে তিনি আবার ভারতে অনুপ্রবেশ করেন।
সবশেষ ২০১২ সালের ২৭ নভেম্বর কলকাতার বৌবাজার এলাকায় ফতেহ আলী নামে ছদ্মবেশে অবস্থানকালে তাকে গ্রেপ্তার করে সেখানকার পুলিশ।
দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় আত্মগোপনে থাকার পর ফের বাংলাদেশে প্রবেশ করে কুষ্টিয়ায় অবস্থান করছিলেন তিনি। তবে এবার তার সেই পালানোর গল্পে ইতি টানল সেনা অভিযান।