1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
শেখ হাসিনা-কামালকে অব্যাহতি চাইলেন আইনজীবী; যুক্তি হাসিনা দেশের উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ১১:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ইতিহাস গড়া নারী ফুটবল দলকে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা, তবে আটকে আছে পুরনো বোনাস যুক্তরাষ্ট্রসহ আট দেশে প্রবাসীদের এনআইডি কার্যক্রম শুরু করতে চায় ইসি যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভুয়া চিকিৎসক সেজে প্রতারণা, যুবক আটক এসএসসি’র রেজাল্ট দেখবেন যেভাবে লালমনিরহাটে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ থেকে পিয়নের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হাফ প্যান্টের ‘এআই’ ছবি ভাইরাল: সম্মানহানির অভিযোগ ডা. তাসনিম জারার কুড়িগ্রামের রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চরম চিকিৎসক সংকট: আড়াই লাখ মানুষের চিকিৎসায় মাত্র ১ জন! ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচনের আশা বিএনপির: সিলেটে ফখরুল টাঙ্গাইলে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে প্রাণ গেল তিনজনের গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনা অচল: দোহায় কোন অগ্রগতি নেই

শেখ হাসিনা-কামালকে অব্যাহতি চাইলেন আইনজীবী; যুক্তি হাসিনা দেশের উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন

  • সর্বশেষ আপডেট : সোমবার, ৭ জুলাই, ২০২৫
  • ১০ জন খবরটি পড়েছেন
শেখ হাসিনা-কামালকে অব্যাহতি চাইলেন আইনজীবী; যুক্তি হাসিনা দেশের উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন

জুলাই-আগস্টের গণহত্যাকান্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন তাদের আইনজীবী আমির হোসেন। আজ সোমবার (৭ জুলাই) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে শুনানি শেষে আদালত আগামী ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন হবে কিনা, সে বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেছেন।

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানিতে অংশ নিয়ে আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, জুলাই-আগস্টে যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে তা মানবতাবিরোধী অপরাধ নয়, কারণ ট্রাইব্যুনালটি গঠিত হয়েছিল ১৯৭১ সালে সংঘটিত অপরাধের জন্য। তিনি যুক্তি দেন, জুলাই-আগস্টে দেশে কোনো যুদ্ধ সংগঠিত হয়নি, তাই এ আইনে এ মামলা চলতে পারে না।

আইনজীবীর যুক্তি ও অভিযোগ অস্বীকার

আইনজীবী আমির হোসেন মামলার অভিযোগগুলো ‘সঠিক নয়’ দাবি করে বলেন, আবু সাঈদ হত্যার সময় শেখ হাসিনা দেশে ছিলেন না। হত্যাকাণ্ডের পর তিনি দেশে এসে আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করেছেন এবং এই ঘটনায় বাকরুদ্ধ ছিলেন। তিনি আসাদুজ্জামান খান কামালকে ‘ভালো মানুষ’ আখ্যা দিয়ে বলেন, তিনি দেশের উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন এবং গণহত্যার সাথে শেখ হাসিনা জড়িত ছিলেন না।

পাঁচটি অভিযোগ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনার আইনজীবী বলেন, “শেখ হাসিনা ‘রাজাকারের বাচ্চা’ শব্দটা এভাবে বলেননি, এর অপব্যাখ্যা করা হয়েছে। তিনি যদি রাজাকারের নাতি-পুতিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাইতেন তাহলে তো অনেক আগেই নিতে পারতেন।” শেখ ফজলে নূর তাপসের সাথে অডিও কলের বিষয়টি সঠিক নয় এবং অভিযোগকারীরা ভালো কোনো ডকুমেন্ট দাখিল করতে পারেননি বলেও তিনি দাবি করেন।

আইনজীবী আমির হোসেন আরও বলেন, ঘটনার সময় অনেক পুলিশ নিহত হয়েছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, শেখ হাসিনা এ মামলায় ‘সুপিরিয়র কমান্ডার’ ছিলেন না, তিনি দেশের উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। এসব যুক্তিতে তিনি তাদের মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন।

প্রসিকিউশনের অভিযোগ

অপরদিকে, গত কয়েক তারিখে প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম এবং গাজী এম এইচ তামিম, শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ উপস্থাপন করে বিচার শুরুর আবেদন করেন।

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনীত পাঁচটি অভিযোগ নিম্নরূপ:

অভিযোগ-১: ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আসামি শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ তৎকালীন সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্ররোচনা, সহায়তা ও সম্পৃক্ততায় তাদের অধীনস্ত ও নিয়ন্ত্রণাধীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য ও সশস্ত্র আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্তৃক ব্যাপক মাত্রায় ও পদ্ধতিগতভাবে নিরীহ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণে অংশ হিসেবে হত্যা, হত্যার চেষ্টা, নির্যাতন এবং অন্যান্য অমানবিক আচরণ করার অপরাধগুলো সংঘটনের প্ররোচনা, উসকানি, সহায়তা, সম্পৃক্ততা, অপরাধ সংঘটন প্রতিরোধে ব্যর্থতা, অপরাধ সংঘটনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শান্তি প্রদান না করা এবং ষড়যন্ত্র করার অপরাধ।

অভিযোগ-২: আসামি শেখ হাসিনা কর্তৃক ছাত্র জনতার ওপর হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের হত্যা করে নির্মূলের নির্দেশ এবং তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন কর্তৃক শেখ হাসিনার ওই নির্দেশ বাস্তবায়নে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং অধীনস্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশনা দিয়ে কার্যকর করার মাধ্যমে অপরাধ সংঘটনের নির্দেশ প্রদান, সহায়তা, সম্পৃক্ততা এবং ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন, যা তাদের জ্ঞাতসারে কার্যকর করা হয়েছে।

অভিযোগ-৩: শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য এবং মারণাস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনরত ছাত্র জনতাকে হত্যার নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ তৎকালীন সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্ররোচনা, সহায়তা ও সম্পৃক্ততায় তাদের অধীনস্ত ও নিয়ন্ত্রণাধীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য ও সশস্ত্র আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্তৃক ব্যাপক মাত্রায় ও পদ্ধতিগতভাবে নিরীহ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণের অংশ হিসেবে ১৬ জুলাই রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে স্বল্প দূরত্ব থেকে সরাসরি নিরীহ নিরস্ত্র আন্দোলনকারী ছাত্র আবু সাঈদের বুক লক্ষ্য করে বিনা উসকানিতে একাধিক গুলি চালিয়ে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করার মাধ্যমে উল্লিখিত আসামিদের জ্ঞাতসারে এবং তাদের কর্তৃক অপরাধ সংঘটনের নির্দেশ, প্ররোচনা, উসকানি, সহায়তা, সম্পৃক্ততা এবং ষড়যন্ত্রসহ অন্যান্য অমানবিক আচরণ করার মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন।

অভিযোগ-৪: শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য এবং মারণাস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনরত ছাত্র জনতাকে হত্যার নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ তৎকালীন সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্ররোচনা, সহায়তা ও সম্পৃক্ততায় তাদের অধীনস্ত ও নিয়ন্ত্রণাধীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য ও সশস্ত্র আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্তৃক ব্যাপক মাত্রায় ও পদ্ধতিগতভাবে নিরীহ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণের অংশ হিসেবে ৫ আগস্ট ২০২৪ ঢাকা মহানগরীর চাঁনখারপুল এলাকায় আন্দোলনরত নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর তৎকালীন সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কর্তৃক নিরীহ নিরস্ত্র ৬ জন ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যা করার মাধ্যমে উল্লিখিত আসামিদের জ্ঞাতসারে এবং তাদের কর্তৃক হত্যার নির্দেশ, প্ররোচনা, উসকানি, সহায়তা, সম্পুৃক্ততা এবং ষড়যন্ত্র করার মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।

অভিযোগ-৫: শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য এবং মারণাস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনরত ছাত্র জনতাকে হত্যার নির্দেশনার প্রেক্ষিতে আসামি আসাদুজ্জামান খান কামাল ও আসামি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ তৎকালীন সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্ররোচনা, সহায়তা ও সম্পৃক্ততায় তাদের অধীনস্ত ও নিয়ন্ত্রণাধীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য ও সশস্ত্র আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্তৃক ব্যাপক মাত্রায় ও পদ্ধতিগতভাবে নিরীহ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণের অংশ হিসেবে ৫ আগস্ট ২০২৪ ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার সামনে এবং আশপাশ এলাকায় আন্দোলনরত নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর তৎকালীন সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কর্তৃক নিরীহ নিরস্ত্র ৬ ছাত্র-জনতাকে গুলি করে তাদের মধ্যে ৫ জনের মরদেহ এবং ১ জনকে জীবিত ও গুরুতর আহত অবস্থায় আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews