মো: নুর আলম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছবি অবমাননা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ স্লোগানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও র্যালি করেছে বিএনপিপন্থী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শাখা ছাত্রদল।
সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে থেকে জিয়া পরিষদ, ইউট্যাব ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানের পক্ষে এবং সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এ সময় জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ইউট্যাব ইবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, ইবির জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদসহ বিএনপিপন্থী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ অভিযোগ করেন, ‘পতিত হাসিনা সরকারের দোসর’ এবং ‘মানবতাবিরোধী শক্তি’ তারেক রহমানকে নিয়ে ‘রিউমার’ ছড়াচ্ছে ও ‘অশ্লীল’ ভাষায় গালিগালাজ করছে। তিনি বলেন, তাদের ঠিকানা বাংলাদেশ নয়, ‘দিল্লি আর পাকিস্তান’।
সাদা দলের আহ্বায়ক এ কে এম মতিনুর রহমান বলেন, জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানকে বাংলাদেশের মানুষ ‘অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ভালোবাসে’। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ‘কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য’ থেকে বিরত না থাকলে তাদের ‘ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে যাবে’।
জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান যদি বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু না করতেন তাহলে আজকে যারা রাজনীতির নামে এসব করছেন তারা কি রাজনীতির সুযোগ পেতেন? যিনি আপনাদের এদেশে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছে তাকেই আপনারা অপমান করছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আপনাদের সতর্ক করছি, সতর্ক করার পরেও যদি এসব কুরুচিপূর্ণ কথা ও অবমাননা চালিয়ে যান আমরা এর দাঁত ভাঙা জবাব দিবো।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানি কারা রগ কাটার সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী। আপনারা একপেশে প্রচারণা চালিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছেন এটা বাংলাদেশের মানুষের কাছে স্পষ্ট। নির্বাচন বিলম্বিত করা এবং স্বৈরশাসকের রাজনীতি যাতে বাংলাদেশে করতে পারে আপনারা সেই পথেই হাঁটছেন। আমরা সতর্ক করছি আমরা কিন্তু দুর্বল নই, আমরা মাঠে নামলে কিন্তু আপনাদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে চাইলে স্বনামে আসেন, সাধারণ ছাত্রের নামে দিয়ে কেন আসছেন? স্বনামে আসেন আমরা আপনাদের প্রতিহত করবো।