বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং নাগরিক ঐক্য—দুই দলের পছন্দের প্রতীক ‘শাপলা’ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের প্রতীক তালিকায় এই ফুলের অনুপস্থিতি ও জাতীয় প্রতীকের অংশ হিসেবে একে দলীয় প্রতীক না করার সিদ্ধান্ত ঘিরে চলছে আলোচনা ও সমালোচনা।
এনসিপির দাবি, তারা শাপলা প্রতীক পেতে আইনি বাধা নেই বলেই বিশ্বাস করে এবং প্রয়োজন হলে আইনি ও রাজনৈতিক লড়াই করবে। দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, “শাপলা ছাড়া আমাদের কোনো অপশন নেই।” তিনি নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
এরই মধ্যে হাইকোর্ট জুলাই আন্দোলনের শহিদদের ‘জাতীয় বীর’ এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণার বিষয়ে রুল জারি করেছে। বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সোমবার এ রুল দেন। জনপ্রশাসন, প্রতিরক্ষা, মন্ত্রিপরিষদ, আইন, তথ্য ও অর্থ সচিবকে রুলে বিবাদী করা হয়েছে।
এদিকে, নাগরিক ঐক্য জানায়, তারা ১৭ জুন শাপলা ও দোয়েল প্রতীকের জন্য আবেদন করে। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আবেদন যেহেতু আগে করা হয়েছে, প্রতীক বরাদ্দে অগ্রাধিকার তাদের প্রাপ্য।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলছে, শাপলা জাতীয় প্রতীকের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ায় একে দলীয় প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ দেয়া যায় না। সংবিধানের চতুর্থ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, জাতীয় প্রতীক হিসেবে শাপলার অবস্থান বিশেষ। যদিও ধানের শীষ, পাট পাতা ও তারকা জাতীয় প্রতীকের অংশ হয়েও দলীয় প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান তালিকায় ৬৯টি প্রতীক থাকলেও আরও ৪৬টি নতুন প্রতীক যুক্ত করে মোট ১১৫টি প্রতীক আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে তালিকায় ‘শাপলা’ ও ‘দোয়েল’ নেই।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে হলে নির্বাচন কমিশনের অবস্থান হতে হবে নিরপেক্ষ ও আইনি যুক্তিতে ভরপুর। অধ্যাপক মেজবাহ-উল-আজম মনে করেন, জাতীয় প্রতীক দলের প্রতীক হতে পারে কি না, তা আইনের ভিত্তিতে স্পষ্ট করা জরুরি।