ডেস্ক রিপোর্ট: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত নতুন শুল্কহার এশিয়ার দেশগুলোর ওপর বড় আঘাত হেনেছে। ১ আগস্টের আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করতে না পারা দেশগুলোকে এখন উচ্চ আমদানি করের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ অঞ্চলের দু’টি বড় বাণিজ্যিক অংশীদার ভারত ও তাইওয়ান। এই দুই দেশ যথাক্রমে ২৫ শতাংশ ও ২০ শতাংশ শুল্কের আওতায় পড়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থলবেষ্টিত দেশ লাওসের ক্ষেত্রে নির্ধারিত হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শুল্কহার, ৪০ শতাংশ। মিয়ানমারের ওপরও একই শুল্ক হার আরোপ করা হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চলে গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়ার ওপর, ৪১ শতাংশ। ইরাকের ক্ষেত্রে ধরা হয়েছে ৩৫ শতাংশ। লিবিয়ার জন্য আবার ৩০ শতাংশ।
যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নির্ধারিত সময়ের মাঝেই চুক্তি করতে পেরেছে, তাদের ওপর তুলনামূলক কম শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এই তালিকায় থাকা দেশগুলো হলো– জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন। এদের ওপর আরোপিত শুল্ক হার ১৫ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে।
হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে ট্রাম্পের নতুন শুল্কহার এরকম––
১০% – ব্রাজিল, ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ, যুক্তরাজ্য এবং নির্বাহী আদেশে তালিকাভুক্ত নয় এমন অন্যান্য সব দেশ
১৫% – আফগানিস্তান, অ্যাঙ্গোলা, বলিভিয়া, বতসোয়ানা, ক্যামেরুন, চাদ, কোস্টারিকা, আইভরি কোস্ট, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো, ইকুয়েডর, নিরক্ষীয় গিনি, ফিজি, ঘানা, গায়ানা, আইসল্যান্ড, ইসরায়েল, জাপান, জর্ডান, লেসোথো, লিচেনস্টাইন, মাদাগাস্কার, মালাউই, মরিশাস, মোজাম্বিক, নামিবিয়া, নাউরু, নিউজিল্যান্ড, নাইজেরিয়া, উত্তর ম্যাসেডোনিয়া, নরওয়ে, পাপুয়া নিউ গিনি, দক্ষিণ কোরিয়া, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, তুরস্ক, উগান্ডা, ভানুয়াতু, ভেনেজুয়েলা, জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে
১৮% – নিকারাগুয়া
১৯% – কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন
২০% – বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম
২৫% – ব্রুনাই, ভারত, কাজাখস্তান, মলদোভা, তিউনিসিয়া
৩০% – আলজেরিয়া, বসনিয়া এবং হার্জেগোভিনা, লিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা
৩৫% – ইরাক, সার্বিয়া
৩৯% – সুইজারল্যান্ড
৪০% – লাওস, মিয়ানমার
৪১% – সিরিয়া।