মামুন রণবীর,নেত্রকোণা।
নেত্রকোণার এক সময়ের খরস্রোতা ধলাই নদীকে পুনর্জীবিত করতে শুরু হলো নদী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম। জেলার সদরের প্রাণকেন্দ্র দিয়ে বয়ে যাওয়া এই নদীকে বাঁচাতে এবার ভিন্নধর্মী পদক্ষেপ নিয়েছেন বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন খান রনি। এতে সহযোগিতা করছে নেত্রকোণা পৌরসভা।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী কচুরিপানা ও অন্যান্য আবর্জনা পরিষ্কারের মধ্য দিয়ে নদী পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়,দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কুচুরিপানা ও ময়লা আবর্জনা দিয়ে ভরাট হয়ে যাওয়া নদীটি বর্তমানে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এছাড়া নদীর পানি প্রবাহের গতি ব্যাহত হওয়ায় নদীটি প্রায় মৃত হয়ে পড়েছিল। জেলা সদরের স্থানীয় নাগরিকরা জানান, নদী পরিষ্কার শুরু হওয়ায় নদীটি পুনরায় তার প্রাণ ফিরে পাবে। এর সুফল ভোগ করবেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এমন মহৎ উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। এই উদ্যোগ নেয়ায় আমরা আবার নদীকে কাজে লাগাতে পারবো। নদীটি আবার তার আগের ধারায় ফিরবে।
দিলোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন,ধলাই নদীতে একসময় প্রচুর মাছ পাওয়া যেতো। কিন্তু গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ময়লা আবর্জনা জমতে জমতে নদীটির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছিলো। এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানের মাধ্যমে নদীটি আবার আগের অবস্থায় ফিরবে।
এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহণ করে বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন খান রনি বলেন, আমি সবসময় জনগণের পাশে থাকতে চাই। মানুষের জন্য কাজ করতে আমার ভালো লাগে। কর্মের মাঝে বেঁচে থাকতে চাই। সবুজ প্রকৃতি,পরিষ্কার নদী। নদী রক্ষায় আমরা বিএনপি। ধলাই নদীকে দখল ও দূষণমুক্ত রাখতে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
নেত্রকোণা স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক ও পৌর প্রশাসক মো. আরিফুল ইসলাম সরদার বলেন, সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ নদীর প্রায় দেড় কিলোমিটার ইতোমধ্যে পরিষ্কার করা হয়েছে। এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকলে নদী আবারও জেলেদের মাছ ধরার উপযোগী হয়ে উঠবে। আমি এই মহৎ কাজকে আন্তরিক সাধুবাদ জানাই।
নেত্রকোণায় নদী রক্ষার এ কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রকৃতিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার হবে বলেই আশা স্থানীয়দের।