কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (কুকসু) খসড়া গঠনতন্ত্র আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৬ তম সিন্ডিকেট সভায় উত্থাপন করা হবে। তবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন‚ ২০০৬ এ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের কথা উল্লেখ না থাকায় নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
আহ্বায়ক কমিটি জানিয়েছে, কুকসুর খসড়া গঠনতন্ত্র উপাচার্যের কাছে জমা দেওয়া হবে আগামী রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর)। এরপর সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত হলে প্রক্রিয়াটি ইউজিসিতে পাঠানো হবে।
এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের উল্লেখ না থাকলেও ইতিমধ্যে জকসু নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ আগামী ২৭ নভেম্বর নির্ধারণ করেছে জবি কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাসান অন্তর বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এখনো ইউজিসি বা রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পায়নি। তারপরও তারা সম্ভাব্য একটি তারিখ ঘোষণা করেছে। ২৭ নভেম্বর তারিখটি পরিবর্তন হতে পারে, তবে তারা আশ্বাস দিয়েছে ০৮ অক্টোবর থেকে ২৭ নভেম্বরের মধ্যে ৪০ দিনের মধ্যেই জকসুর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও এভাবে একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করে কুকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা জরুরি।’ আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান খান বলেন, ‘আমরা কুকসুর রোডম্যাপ তৈরির কাজ শেষ করেছি। প্রতিবেদনটি আগামী (২১ সেপ্টেম্বর) জমা দেওয়া হবে।
২৪ তারিখ সিন্ডিকেট সভায় পাশ হলে এটি ইউজিসিতে যাবে। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ে যাবে। প্রয়োজনে সংশোধন শেষে আবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সর্বশেষ রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেলে আমাদের কাছে ফিরে আসবে। এরপর আমরা কুকসু বাস্তবায়নের কাজ শুরু করতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কুকসু নিয়ে আন্তরিক। সিন্ডিকেট সভায় একটি উচ্চতর কমিটি গঠন করা হবে, যাতে গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করে নির্বাচনের পথ সুগম করা যায়।’
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, ‘এখনো আমি হাতে পাইনি। এটি পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় উত্থাপন করা হবে। এরপর যত দ্রুত সম্ভব ইউজিসিতে পাঠানো হবে। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন প্রয়োজন হবে।’