মামুন রণবীর, নেত্রকোণা প্রতিনিধি: ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন স্কুলে যাতায়াত করতো কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। সাঁকো পার হতে গিয়ে তাদের মনে প্রচন্ড ভয় কাজ করতো,কখন ভেঙে পড়ে যায়। এটা ছিল তাদের নিত্যদিনের দুর্ভোগ, ছিল জীবনঝুঁকি। এবার তাদের সেই দুর্ভোগ দূর হলো।
নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার কোমলমতি এই শিক্ষার্থীদের নিরাপদ চলাচলে মজবুত সাঁকো তৈরি করে দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তার উদ্যোগে আগের সেই ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো ভেঙে সেখানে নির্মিত হয়েছে নতুন এক দৃষ্টিনন্দন সাঁকো।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সাঁকোটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। যারা এতোদিন দুর্ভোগ পোহাত সেই বিশারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নতুন সাঁকো উদ্বোধন করে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, ১৯৯৫ সালে বিশারা গ্রামে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়ে বর্তমানে পাঁচজন শিক্ষক এবং দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। দুই বছর আগে পাহাড়ি ঢলের পানির স্রোতে মাঠে প্রায় ৬০ ফুট লম্বা ও ২০ ফুট গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়।
এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা চরম দুর্ভোগে পড়েন। প্রথমে নৌকা ব্যবহার করা হলেও পরে গ্রামবাসীর উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো নির্মিত হয়। কিন্তু কিছুদিন যেতেই সেটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা সেই সাঁকো পার হতো। নতুন সাঁকো নির্মিত হওয়ায় এলাকাবাসীও খুব খুশি।
উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা শেখ শামীম বলেন, এতোদিন ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুলে যেতে গিয়ে খুব দুর্ভোগ পোহাত। তারা ভয় পেত। আগের সাঁকোটি চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ায় সবার মনেই দুশ্চিন্তা কাজ করতো। এবার নতুন সাঁকো নির্মাণের ফলে সকল কষ্ট দূর হলো।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কুসুম আক্তার বলে, নতুন সাঁকো হওয়ায় এখন আমাদের আর কোন ভয় নাই। আমরা অনেক আনন্দিত।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানতে পারি শিশুদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াতের কথা। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা ভেবেই দ্রুত সিদ্ধান্ত নেই। আমার চাওয়াই ছিল, তারা যেন নিরাপদে, নির্ভয়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে পারে। সাঁকোটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। আশা করছি ছাত্র ছাত্রী সহ স্থানীয় সকল জনগণের পারাপারে সুবিধা হবে।