1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. suma59630@gmail.com : ফাতেমা আকতার তোয়া : ফাতেমা আকতার তোয়া
  3. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  4. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
  5. wasifur716@gmail.com : Wasifur Rahaman : Wasifur Rahaman
২৪ বছর শিকলে বন্দি শাহানের জীবন,মেলেনি উন্নত চিকিৎসা - বিডিটেলিগ্রাফ | Bangla News Portal, Latest Bangla News, Breaking, Stories and Videos
রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় শ্যামনগর ছাত্রদল আহবায়ককে শোকজ মেহেরপুরে অবৈধ রং উৎপাদনে নিভালাক পেইন্টসকে দুই লাখ টাকা জরিমানা চুয়াডাঙ্গায় বাসের ধাক্কায় দুজন নিহত, দুজন আশঙ্কাজনক ইন্দোনেশিয়া ও মিয়ানমারে দুই ভূমিকম্প, বাংলাদেশে আগের কম্পনে ১০ মৃত্যু ইন্দোনেশিয়ায় ৫ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আইরিশদের বড় ব্যবধানে সিরিজ হারাল বাংলাদেশ হাসিনার রায় দ্রুত কার্যকর না হলে জনগণ ন্যায়বিচার পাবে না: নাহিদ সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকারকে সহযোগিতা করবে সেনাবাহিনী: সেনাপ্রধান জনবল নিয়োগ দেবে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ, পদ ১৫, আবেদন নির্ধারিত ফরমে বিকেল ৫টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ, ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ঢাবি

২৪ বছর শিকলে বন্দি শাহানের জীবন,মেলেনি উন্নত চিকিৎসা

  • সর্বশেষ আপডেট : মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১৫৬ জন খবরটি পড়েছেন

মামুন রণবীর, নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধি

নেত্রকোণার দুর্গাপুরের ৩০ বছর বয়সী শাহান আলী। গত ২৪ বছর ধরে হাতে ও পায়ে শিকল ও দড়ির বাঁধনে বন্দি জীবন কাটাচ্ছে। তাকে ২৪ ঘন্টাই বেঁধে রাখতে হয়। তার যখন ৬ বছর বয়স তখন তার শরীরে খিঁচুনি দেখা দেয়,এরপর থেকেই সে মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছে।

শাহান দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের থাপনারগাতি গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ মিয়ার ছেলে। আর্থিক সংকটের কারণে তাকে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারেনি তার পরিবার। স্থানীয়রা বলছেন, উন্নত চিকিৎসা পেলে হয়তো শাহান আলী শিকলমুক্ত জীবনে ফিরতে পারবে।

দিনের বেলায় বসতঘরের পেছনে খোলা আকাশের নিচে গাছের সঙ্গে ও রাতে ঘরের ভিতর খুটির সঙ্গে হাতে ও পায়ে শিকল দিয়ে তাকে বেঁধে রাখা হয়। সেখানেই চলে তার খাওয়া-দাওয়া আর প্রশ্রাব-পায়খানা। এভাবেই বছরের পর বছর ধরে চলছে শাহানের বন্দি জীবন।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের ভেতর দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে মানসিক ভারসাম্যহীন শাহানকে। তাকে সারাদিন ও রাতেও এভাবে বেঁধে রাখতে হয় বলে জানান বাবা আব্দুল মজিদ আলী। বাঁধন খুলে দিলে সে আক্রমণাত্মক আচরণ করে। সে নিজের শরীরে আঘাত করে,এমনকি ঘরের বেড়ার টিনেও জোরে ধাক্কা মারে।

শাহান আলীর বাবা আব্দুল মজিদ বলেন,জন্মের ৬ বছর বয়স হওয়ার পর থেকেই তার মধ্যে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু হয়। সে সময় তাকে ছেড়ে দিলে ছোটাছুটি করে যাকে সামনে পেত তাকেই মারধর করতো। এলাকাবাসীর গরু,হাস,মুরগি, ছাগল সহ পোষা প্রাণীকে মারধর করাসহ পরিবারের লোকজনদের কাছে পেলে আঘাত করার চেষ্টা করতো। যতই বড় হচ্ছিলো অস্বাভাবিক আচার-আচরণ, মারধর দিন দিন বাড়তে থাকে। পরে সামর্থ্য মতো কিছুদিন চিকিৎসা চালালেও সুস্থ হয়নি শাহান আলী। তার আচরণের কোনো পরিবর্তন হয়নি। বরং দিন দিন বাড়তেই থাকে। তাই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে বাধ্য হয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বেঁধে রাখা হচ্ছে তাকে। 

শাহানের মা রহিমা খাতুন বলেন, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করালেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে অস্বাভাবিক আচরণ দেখা যায় তার মাঝে। বয়স যখন ছয় তখনই মানুষকে মারধর শুরু করে। বড় দূর্ঘটনাও ঘটিয়েছে। এজন্যই তাকে রাতে ঘরের ভিতর খুটির সঙ্গে এবং সকালে বাড়ির সামনে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে সেখানেই খাবার দেয়া হয়। 

তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন,দীর্ঘ সময় ধরে হাতে পায়ে বেঁধে রেখেছি সন্তানকে। দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখায় হাত ক্ষত হয়ে গেছে। এই দৃশ্য মা হয়ে সহ্য করতে পারছি না।

এলাকাবাসী বলেন, উন্নত চিকিৎসা পেলে হয়তো কিছুটা স্বাভাবিক হতো শাহান। শিকলমুক্ত হতো তার জীবন৷

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2025
Theme Customized By BreakingNews