গাজীপুর প্রতিনিধি।
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় একটি বাসা থেকে গলাকাটা অবস্থায় রহিমা বেগম নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই স্থান থেকে তার স্বামী ইমরান হোসেনকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে সকালে হাসপাতালে নেওয়া হয়। শুক্রবার মধ্যরাতে নওয়াব আলী মার্কেট এলাকার পাঁচতলা ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, দম্পতির ১৬ বছরের মেয়েকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সে জানিয়েছে—তার বাবা প্রথমে মাকে হত্যা করেন এবং পরে নিজেই নিজের গলা কাটেন। তবে পুলিশ শিশুটির এই বক্তব্যে আস্থা রাখতে পারছে না এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
নিহত রহিমা বেগমের বয়স ৩৮ বছর। তিনি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাসিন্দা। তার স্বামী ইমরান হোসেন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের বাসিন্দা এবং কোনাবাড়ীতে মাংস বিক্রি করতেন। পরিবারটি ওই ভবনের পঞ্চম তলায় ভাড়া থাকতেন।
রাতের ঘটনার পর ভোরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে স্বামী-স্ত্রীর দুজনেরই গলাকাটা অবস্থার কথা জানতে পারে। পরে দেখা যায়, ইমরান জীবিত এবং অর্ধগলাকাটা অবস্থায় হাত নাড়াচ্ছিলেন। তাকে দ্রুত শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রহিমার মরদেহ একই হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
কোনাবাড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ চলছে এবং আইনি প্রক্রিয়া হাতে নেওয়া হয়েছে।