জহুরুল হক, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি।
কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় পদ্মা নদীতে ডুবে ২জনের মৃত্যু হয়েছে এবং
আহত হয়েছে ২জন। মঙ্গলবার (১৮নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে উক্ত দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, একই এলাকার ইসলামপুর গ্রামের মৃত আবুল গফুরের পুত্র আব্দুর রশিদ (৬০) ও মৃত শরাফত আলী প্রামানিকের পুত্র মোঃ মামুন (২৫)।
আহতরা হলেন, মৃত সিরাজ আলী প্রামাণিকের পুত্র শরিফুল এবং মৃত পলান আলীর পুত্র ইউসুফ আলী।
ঐ এলাকার স্থানীয় সংবাদকর্মী ও নিহতদের প্রতিবেশী এস এম রওনক জানান, এলাকার উক্ত ব্যক্তিরা ভোরে একটি ছোট্ট ডিঙি নৌকায় পদ্মা নদী পার হয়ে পদ্মার চরে তাঁদের চাষাবাদের জমিতে যাচ্ছিলেন। নদীর মাঝখানে হঠাৎ তাদের নৌকাতে পানি উঠে যায় এবং নৌকা ডুবে যায়। স্থানীয়রা নদী থেকে উদ্ধার করে দ্রুত ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহত শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিনের মতো মামুনের জমিতে আমরা আখ লাগানোর জন্য রওনা দিই। জমি নদীর অপরপ্রান্তে হওয়ায় ছোট ডিঙি দিয়ে পার হতে হয়। আজকেও অন্যদিনের মতো চারজন পার হচ্ছিলাম। কিন্তু কিছু দূর যাওয়ার পর হঠাৎ নৌকাটি সামান্য কাত হয়ে পানি উঠতে থাকে তারপর কিছু বুঝে ওঠার আগেই ডুবে যায়। যে যার মতো প্রাণে বাঁচার চেষ্টা করতে থাকি। হঠাৎ আমি পায়ের নীচে মাটির স্পর্শ অনুভব করি এবং কোন রকম কিনারায় উঠে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ ইমরান হোসেন বলেন, আমরাও নদী পারাপারের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, ওদের পরেই আমরা যাবো কিন্তু ওরা কিছুদূর যেতেই ছোট নৌকাটা হঠাৎ দুলতে দুলতে কাত হয়ে ডুবে যায়, আমি-সহ কয়েকজন দ্রুত ঝাঁপ দিয়ে তাদের মধ্যে মামুন ও রশিদ চাচাকে উদ্ধার করি। রশিদ চাচা-সহ দু’জনের অবস্থায় খুব খারাপ ছিল।
ভেড়ামারা থানার ওসি আব্দুর রব তালুকদার জানান যেহেতু নদীর দুর্ঘটনা ঘটেছে তাই বিষয়টি ঈশ্বরদী লক্ষীকুন্ডা নৌপুলিশ তদারকি করছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ শরিফুল ইসলাম রনি জানান, দুর্ঘটনা শোনার সাথে সাথে সেখানে উপস্থিত হয়ে যা জানতে পারি তা সত্যি খুব মর্মান্তিক ঘটনা, একই সঙ্গে একই গ্রামের দুই জনের মৃত্যুতে এলাকায় গভীর শোক বিরাজ করছে।
নৌ পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে স্বাভাবিক মৃত্যু ঘোষণা করায় তাদেরকে স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।