তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যশোরের বাঘারপাড়ায় ২৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে । এসব প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ২ জন বর্তমান চেয়ারম্যান ।
বেসরকারিভাবে ঘোষিত নির্বাচনী ফলাফল অনুযায়ী , জহুরপুর ইউনিয়নে ৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হতে যাচ্ছে। এ ইউনিয়নে ভোট পড়েছে ১১ হাজার ১১৬ টি । প্রাপ্ত ভোটের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতিকের আলমগীর হোসেন পেয়েছেন মাত্র ১৭ ভোট, আনারস প্রতিকের আবু তালেব পেয়েছেন ৯৯ ভোট, জাকের পার্টির গোলাপফুল প্রতিকের রফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ১০০ ভোট ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতিকের রকিবুল ইসলাম পেয়েছেন ৪৩৫ ভোট।
বন্দবিলা ইউনিয়নে ৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হতে যাচ্ছে। এ ইউনিয়নে কাস্টিং হয়েছে ১৮ হাজার ৩৭ ভোট । চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতিকের কাজী কামরুল পেয়েছেন ৩৪৬ ভোট, চশমা প্রতিকের আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ১ হাজার ৭০০ ভোট, ঢোল প্রতিকের জিয়াউর রহমান পেয়ছেন ২৪৪ ভোট, ঘোড়া প্রতিকের মাসুম রেজা পেয়েছেন ১৩ ভোট, জাকের পার্টির গোলাপফুল প্রতিকের আবু বক্কার পেয়েছেন ১০৩ ভোট ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতিকের আনিসুর রহমান পেয়েছেন ১ হাজার ৫৮০ ভোট। তবে ঘোড়া প্রতিকের মাসুম রেজা ভোট গ্রহণের কয়েকদিন আগে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
রায়পুর ইউনিয়নে ৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হতে যাচ্ছে। এ ইউনিয়নে ১৫ হাজার ৪১৮ ভোট কাস্টিং হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতিকের মোশারেফ হোসেন পেয়েছেন মাত্র ৮৬ ভোট, জাকের পার্টির গোলাপফুল প্রতিকের আবুল কাশেম পেয়েছেন ৪৭৮ ভোট ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতিকের জাহিদ হাসান পেয়েছেন ৭৯৯ ভোট।
নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নে ২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হতে যাচ্ছে। এ ইউনিয়নে ১২ হাজার ৩৬২ ভোট কাস্টিং হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে জাকের পার্টির গোলাপফুল প্রতিকের জমির উদ্দীন পেয়েছেন ১০৫ ভোট ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতিকের ওয়াদুদ খান পেয়েছেন ৯৪৫ ভোট।
ধলগ্রাম ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতিকের আতিয়ার রহমান সরদারের জামানত বাজেয়াপ্ত হতে যাচ্ছে। এ ইউনিয়নে ১১ হাজার ২৭৯ ভোট কাস্টিং হয়েছে। তিনি পেয়েছেন ২৭৭ ভোট। তবে ভোট গ্রহণের দুই দিন আগে আতিয়ার রহমান সরদার নৌকার প্রতিকের প্রার্থী রবিউল ইসলাম রবিকে সমার্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
দোহাকুলা ইউনিয়নে ২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হতে যাচ্ছে। এ ইউনিয়নে ১৪ হাজার ১১৮ ভোট কাস্টিং হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতিকের অরুণ অধিকারী পেয়েছেন ১৩৪ ভোট ও জাকের পার্টির গোলাপফুল প্রতিকের নূর জালাল পেয়েছেন ৪৭০ ভোট। তবে ভোট গ্রহণের এক দিন আগে অরুণ অধিকারী নৌকার প্রতিকের প্রার্থী আবু মোতালেব তরফদারকে সমার্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
দরাজহাট ইউনিয়নে ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হতে যাচ্ছে। এ ইউনিয়নে ১২ হাজার ১৮৩ ভোট কাস্টিং হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মোটরসাইকেল প্রতিকের আয়ুব হোসেন বাবলু পেয়েছেন ১৮০ ভোট, চশমা প্রতিকের গোলাম মোস্তফা (ফুলমিয়া) পেয়েছেন ৩৯৪ ভোট, টেবিল ফ্যান প্রতিকের রফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ২২২ ভোট, জাকের পার্টির গোলাপফুল প্রতিকের ওমর আলী পেয়েছেন ৫৫ ভোট ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতিকের মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন ৫১৯ ভোট।
বাসুয়াড়ি ইউনিয়নে ২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হতে যাচ্ছে। এ ইউনিয়নে ১৩ হাজার ৮৫৬ ভোট কাস্টিং হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আনারস প্রতিকের আবু সাঈদ সরদার পেয়েছেন ১ হাজার ২৪ ভোট ও মোটরসাইকেল প্রতিকের মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৫১৬ ভোট।
জামদিয়া ইউনিয়নে ৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হতে যাচ্ছে। এ ইউনিয়নে ১৪ হাজার ১৫৬ ভোট কাস্টিং হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতিকের সেলিম রেজা পেয়েছেন ১৩৫ ভোট, ওয়ার্কাস পার্টির হাঁতুড়ি প্রতিকের মোস্তাফিজুর রহমান (লাল মিয়া) পেয়েছেন ৩৩ ভোট ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতিকের খাইরুল ইসলাম মিঠু পেয়েছেন ১ হাজার ২০ ভোট।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ওয়াহিদা আফরোজ জানিয়েছেন, ‘নির্বাচনে প্রাথমিক বেসরকারী ফলাফল ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে সবুজ সংকেত আসলে আনুষ্ঠানিকভাবে জয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। তিনি আরো বলেন, আনুমানিক ২ সপ্তাহের মধ্যে জামানত বাজেয়াপ্তদের নাম প্রকাশ করা হবে।’