জমি লিখে না দেওয়ার অপরাধে ধারালো ছুরি দিয়ে পিতার হাত থেকে কব্জি কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে পুত্র । র্যাব সেই ছেলে কে গ্রেফতার করেছে।
গত ২৩ নভেম্বর বাবার হাতের কব্জি কেটে ফেলার ঘটনাটি ঘটেছে মাগুরা জেলার সদর উপজেলার উথলি গ্রামে।
জানা গেছে,উথলি গ্রামের শহিদুল ইসলাম ওরফে সাধুকে তার ছোট ছেলে হানিফ মিয়া ধারালো ছুরি দিয়ে কব্জি কেটে হাত বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।
শহিদুল হকের বড় ছেলে গোলাম মোস্তফা জানান, ছোট ভাই হানিফ বাবার সম্পত্তি থেকে কিছু ফসলি জমি লিখে দিতে বাবাকে চাপ দিয়ে আসছিল । কিন্তু বাবা ওর আচরনে সন্তুষ্ট না থাকার কারনে জমি লিখে দিতে অস্বীকার করেন। তার কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে ছোট ভাই হানিফ বাবার হাতের কব্জি কেটে ফেলেছে।
র্যাব-০৬ এর (ঝিনাইদহ অঞ্চল) সিও (কমান্ডিং অফিসার) মেজর শরীফ জানান, সোমবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বালিয়া গ্রামের রুবেল হোসেনের বাড়ি থেকে র্যাবের সদস্যরা হানিফ কে আটক করে।
এর আগে শহিদুল হকের বড় ছেলে গোলাম মোস্তফা রাতে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে হানিফ মিয়া পলাতক ছিলেন।তিনি বলেন, হানিফ মিয়াকে মাগুরা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গুরুতর জখম অবস্থায় বাবা শহীদুল হক ওরফে সাধু (৭০) কে উদ্ধার করে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করার পরে অবস্থার অবনতির কারনে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।