গোলাগুলি, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, বেধড়ক লাঠিপেটা, কেন্দ্র দখল চেষ্টার মধ্যদিয়ে যশোরের অভয়নগর উপজেলার আটটি ইউনিয়নে রোববার ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
নির্বাচন চলাকালীন দুটি কেন্দ্রে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। প্রার্থীদের কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা নিয়ন্ত্রনে আনতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিবর্ষণ ও লাঠিচার্জের সময় পাঁচজন আহত হয়েছেন।
উপজেলার ৮ ইউনিয়নের মধ্যে ৪ টিতে জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী এবং ৪ টিতে জয় পেয়েছেন বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচন করা স্বতন্ত্র প্রার্থী।
দুপুরের পর বাঘুটিয়া ইউনিয়নের পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জোরপূর্বক ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টা করা হয়। এ নিয়ে সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেন। পরিস্থিতি দেখতে আসা জনতাকে সরাতে লাঠিচার্জও করা হয়। এসময় এ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও দলবিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক চারজন কর্মী আহত হন।
অপরদিকে, বিকেলে শুভরাড়া ইউনিয়নের বাশুয়াড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে একদল লোক লাঠিসোটা নিয়ে ভোট কেন্দ্র দখলের চেষ্টা চালালে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়েন। পরে ডিবি পুলিশের একটি টহল টিমের সদস্যরা ভোটকেন্দ্রের ছাদে থাকা কতিপয় যুবককে ধাওয়া করে লাঠিপেটা করেন। এসময় আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন বাচ্চুর মাথা ফেটে যায়। আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গোলযোগের কারনে ওই দুটি কেন্দ্রে সাময়িকভাবে ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে পুণরায় ভোট গ্রহণ শুরু করা হয়।
এছাড়া, রোববার সকাল ৮টা থেকে উপজেলার আট ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
প্রেমবাগ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান প্রভাষক মফিজউদ্দিন পাঁচ হাজার চারশ’ ৮২ ভোট পেয়ে পুণরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম সিরাজুল ইসলাম মান্নু ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন চার হাজার দুইশ’ ৪৪ ভোট ।