1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
যশোরের যশ// খেজুরের চিনি যেতো ইউরোপে - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
অপারেশন রাইজিং লায়ন : ইরানে রক্তক্ষয়ী হামলায় ৪৫২ জন নিহত শেরপুরে সুদের টাকা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল শ্যামনগরে মিষ্টির দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা শ্যামনগরে অস্ত্রসহ সুন্দরবনের দুই জলদস্যু আটক ৮ জেলায় ঘণ্টায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা, ১ নম্বর সতর্ক সংকেত ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রে বিধ্বস্ত ইসরাইলের বৃহত্তম তেল শোধনাগার,নিহত ৩ পরমাণু চুক্তি না করলে ‘ইরান বোকার মতো কাজ করবে’-ট্রাম্প ব্রিটিশ নাকি বাংলাদেশি? টিউলিপ সিদ্দিককে আদালতে তলব করল দুদক বাবাকে কোদাল দিয়ে হত্যা করলো ছেলে তেল আবিবে ইরানের হামলা, মার্কিন দূতাবাস আংশিক ধ্বংস

যশোরের যশ// খেজুরের চিনি যেতো ইউরোপে

  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৪০০ জন খবরটি পড়েছেন

শাহাদত হোসেন কাবিল

যশোরের চিনি কেবল স্থানীয় চাহিদা পূরণ করতো তা নয়। ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে রফতানিও হতো। শীতকালের শেষভাগে বরিশালের ব্যবসায়ীরা বড় বড় নৌকা ভর্তি করে চাল এনে বিক্রি করে চিনি কিনে নিয়ে যেতো। চিনির সাথে তারা প্রচুর গুড়ও নিয়ে যেতো।

তৎকালীন যশোরের কোটচাঁদপুর ও কেশবপুরে ছিল প্রধান চিনি মোকাম। এ ছাড়া চৌগাছা ও ত্রিমোহিনীতে চিনির ব্যবসায় চলতো। অন্যান্য স্থানের মধ্যে রাজারহাট ,খাজুরা, মণিরামপুর, ঝিকরগাছা, বসুন্দিয়া, নওয়াপাড়া প্রভৃতি স্থানও চিনি উৎপাদন ও ব্যবসায়ের জন্য উল্লেখযোগ্য ছিল। ঝিকরগাছা, যাদবপুর, কালীগঞ্জ, নওয়াপাড়া প্রভৃতি স্থানে চিনির চেয়ে গুড়ের হাট বড় ছিল।

কোটচাঁদপুরে শতাধিক কারখানায় হাজার হাজার লোক কাজ করতো। কেশবপুরে কারখানাপাড়া ও কলকাতাপট্টি ছিল। কলকাতার বড় ব্যবসায়ীরা এসে সেখানে চিনির ব্যবসায় করতেন। চৌগাছা ও ত্রিমোহিনীতেও বহু কারখানা ছিল। বাঘারপাড়ার ছাতিয়ানতলায় গুড়ের বড় হাট ছিল। শীতকালে প্রতি বৃহস্পতিবার একহাজারের বেশি গরুর গাড়িতে গুড় আসতো ওই হাটে। ছাতিয়াতলার মতো প্রায় সমান গুড়ের হাট ছিল কালীগঞ্জ,মণিরামপুর, ঝিকরগাছা, যশোর ও যাদবপুরে।

ইতিহাসের এক তথ্যে জানা যায়, কোটচাঁদপুরে ১৮৭৪ সালে ৬৩ টি চিনি কারখানায় ৯ লাখ ৩৮ হাজার ৮৫০ টাকা বিনিয়োগ করে এক লাখ ৫৬ হাজার ৪৭৫ মণ চিনি পাওয়া যায়। ১৮৮৯ সালে আট-নয় লাখ টাকা বিনিয়োগ কওে উৎপাদন হয় সাড়ে ১৭ হাজার মণ চিনি।

ঊনবিংশ শতাব্দির প্রথম দিকে ব্রিটিশ ব্যবসায়ীরা চিনির ব্যবসায় করতে এখানে আসে। ব্লাক সাহেব নামে এক ব্যবসায়ী কোটচাঁদপুর ও ত্রিমোহিনীতে কুঠি স্থাপন করেন। সে সময় নিউ হাউজ সাহেব কোটচাঁদপুওে এবং সেন্টস বারিসাহেব ত্রিমোহিনী কুঠির দায়িত্ব পান। ওই সময় গ্লাসস্টোন ওয়াইলি অ্যান্ড কোম্পানি চৌগাছায় এসে চিনির কারখানা স্থাপন করেন। প্রথমে স্মিথ ও পরে ম্যাকলিয়ড কোম্পানির ম্যানেজার ছিলেন। ম্যাকলিয়ড প্রথমে স্থানীয় সব খেজুর রস কিনে নিয়ে গুড় ও চিনি তৈরি করতেন। কোটচাঁদপুর, কেশবপুর,তিমোহিনী, ঝিকরগাছা ও নারিকেলবাড়িয়ায় এই কোম্পানির কারখানা ছিল।

১৮৬১ সালে নিউহাইজ সাহেব চৌগাছা কারখানার শাখা হিসেবে তাহিরপুরে একটি চিনিকল স্থাপন করে ইউরোপীয় মতে চিনি তৈরি করতে থাকেন্ এর সাথে মদ তৈরি করার জন্য ভাটিখানাও যোগ হয়। এখানে উৎপাদিত চিনি জাহাজ ভর্তি করে ইউরোপে নিয়ে যাওয়া হতো। তাহেরপুর ভৈরব নদের জাহাজঘাটের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে আজো জাহাজ বেঁধে রাখার সেই পিলার এবং চিনি কারখানার পরিত্যক্ত জিনিসপত্র পড়ে আছে।

কিন্তু লোকসানের কারণে দেনা বাড়তে থাকলে ১৮৮০ সালে এমট চেম্বারস কোম্পানির কাছে কারখানা বিক্রি করে দেন। নতুন লোক এসে কারখানা ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার যথেষ্ট উন্নয়ন করেন। তারা হাড়ের গুঁড়ো চিনি পরিষ্কার করার নতুন পদ্দতি চালুর চেষ্টা করেন। কিন্তু লাভজনক অবস্থায় ফিরতে পারলেন না। বাধ্য হয়ে ১৮৮৪ সালে কোম্পানি উঠে গেল। বন্ধ হয়ে গের কারখানা। ওই সময় বালুচর নিবাসী রায় বাহাদুর ধনপতি সিংহ কারখানা কিনে নেন।১৯০৬ সালে তার মৃত্যু পর্যন্ত এ কারখানা চালু ছিল।

ফেসবুক থেকে

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews