1. bdtelegraph24@gmail.com : Bdtelegraph Bangla :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. islam.azizul93@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
গাছ না কাটতে ঘুষ, কাটা গাছ ফেরত দিতেও ঘুষ ! - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ১১:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
৮০ বছরের বৃদ্ধা মাকে ছাগলের ঘরে বন্দি, উদ্ধার করলো প্রশাসন বাঘারপাড়ায় ১৫০ কৃষক কে গ্রীষ্মকালীন বীজ ও সার বিতরণ শরণখোলায় জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবসে আলোচনা ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এম আমিনুল ইসলামের পদত্যাগ যশোরে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা: অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেলেন তারেক রহমান কোহলির ভবিষ্যদ্বাণী, বিশ্ব ক্রিকেট শাসন করবে ভারত পূর্বপরিচিতের লালসার শিকার শিশু, গ্রেফতার গাড়িচালক হামাসের সঙ্গে মার্কিন বৈঠক, ক্ষুব্ধ ইসরাইল মাদারীপুরে চাঁদাবাজ সাইফুল খুন, বাঁচাতে গিয়ে দুই ভাই নিহত ভারতের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়: নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে তৃতীয় শিরোপা

গাছ না কাটতে ঘুষ, কাটা গাছ ফেরত দিতেও ঘুষ !

  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২২
  • ২৩৬ জন খবরটি পড়েছেন

ইলিয়াস হোসাইন,পটুয়াখালী।।

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার দেউলী-সুবিদখালী ইউনিয়নের ডোকলাখালী ওয়াপদা সড়কের আট লক্ষাধিক টাকা মূল্যের সরকারি গাছ টেন্ডার ছাড়াই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে বন কর্মকর্তা জহিরুল কবির শাহীনের বিরুদ্ধে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ব্যক্তি মালিকানাধীন গাছ না কাটার জন্য ঘুষ দাবির অভিযোগ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে এলাকাবাসী গাছ হস্তান্তরে বাধা দিলে এলাকায় আসেন মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌস।
পরে অভিযুক্ত বন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে এলাকাবাসীর হট্টগোলে তোপের মুখে পড়েন তিনি। একই সাথে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতাও মেলে।

জানা যায়, উপক‚লীয় বনবিভাগের বাস্তবায়নে ২০২১-২২ অর্থবছরে সবুজ বেষ্টনী প্রকল্পের আওতায় সড়কের উন্নয়নের স্বার্থে ২১০ মিটার রাস্তায় বনবিভাগের বিভিন্ন প্রজাতির ১৫৩টি গাছ মার্কিং করে অপসারণের লক্ষে মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় কর্তৃক রেজুলেশন অনুযায়ী টেন্ডার দেয়া হয়।

পাঁচ লাখ টাকা মূল্যে ওই গাছ ক্রয় করেন ঠিকাদার মোঃ আলমগীর হোসেন। তবে অভিযোগ ওঠে, অতিরিক্ত চারশ’ মিটার রাস্তার বিভিন্ন প্রজাতির আট লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ৬৪টি বড় গাছ কেটে বিক্রি করেছেন ওই কর্মকর্তা। এর মধ্যে এলাকাবাসীর ব্যক্তি মালিকানাধীন গাছও রয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, বন কর্মকর্তা প্রথমে ব্যক্তি মালিকানা গাছ না কাটার জন্য ঘুষ দাবি করেন, আবার কাটার পরে গাছ মালিকদের ফেরত দেয়ার জন্যও ঘুষ দাবি করেন। ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে গাছ ঠিকাদারের কাছে হস্তান্তর করেন তিনি।
ঠিকাদার মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, বন কর্মকর্তা আমাকে যেসব গাছ চিহ্নিত করে দিয়েছেন আমি সেইসব গাছই কেটে নিয়েছি। এখানে আমার আর কোন মতামত নেই।

অভিযোগ অস্বীকার করে জহিরুল কবির শাহীন বলেন, ‘আমি টেন্ডারবিহীন কোন ব্যক্তি মালিকানার গাছ কাটতে বলিনি। তাছাড়া এলাকায় কারো কাছে ঘুষও দাবি করিনি।

‘এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌস জানান, ঘটনাস্থলে এসে বন কর্মকর্তার কাছে কেটে ফেলা গাছের ব্যাপারে জানতে চাইলে ৬৪টি গাছের হিসেব তিনি দিতে পারেননি। এ বিষয়ে তার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। তাছাড়া ঘুষ দাবির বিষয়টির সত্যতা মিলেছে, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews