1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. suma59630@gmail.com : ফাতেমা আকতার তোয়া : ফাতেমা আকতার তোয়া
  3. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  4. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
  5. wasifur716@gmail.com : Wasifur Rahaman : Wasifur Rahaman
রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স একটি হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম ২৪ হাজার টাকা - বিডিটেলিগ্রাফ | Bangla News Portal, Latest Bangla News, Breaking, Stories and Videos
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:১৫ অপরাহ্ন

রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স একটি হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম ২৪ হাজার টাকা

  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ৪৩৪ জন খবরটি পড়েছেন

এ আর রাকিবুল হাসান , কুড়িগ্রাম ।।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশেই মরিয়ম হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট। কভিডের টিকাদান কার্যক্রমে এই দোকানের ভাউচার জমা দিয়ে ১২ লক্ষাধিক টাকা তোলা হয়েছে। একটি হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম ২৪ হাজার, ৪০ প্যাকেট খাবারের মূল্য ২০ হাজার, এক আলোচনা সভায় চা-নাশতা বাবদ ৩৯ হাজার ২০০ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান জুয়েল চার-পাঁচ গুণ বেশি ব্যয় দেখিয়ে উপজেলা হিসাবরক্ষণ কার্যালয় থেকে এসব বিল তুলে আত্মসাৎ করেছেন।
দোকানের মালিক মো. মুকুল বকসীর ভাষ্য, তার দোকান থেকে ২০০টি খালি রশিদ নিয়ে গেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লোকজন। এসব রশিদ তারা কী কাজে ব্যবহার করেছেন, তা জানা নেই তার। তবে এক বছরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লাখ টাকার ভাত-নাশতা সরবরাহ করেছেন বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, এসব রশিদ এক হাতের লেখা এবং প্রত্যেকটিতে টাকার পরিমাণ লেখা হয়েছে। তবে কী মালপত্র ক্রয় করা হয়েছে তার বর্ণনা নেই। ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ছয় দিনে ৭৮টি ভাউচারের মাধ্যমে ১২ লাখ ১৬ হাজার ৮০০ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। গত ৩ জুন উপজেলা হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ে এসব বিল জমা দিয়ে পুরো টাকা তোলা হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার ২৯টি কমিউনিটি ক্লিনিকে গত ডিসেম্বরে মাদার সাপোর্ট কর্মশালা হয়। দু’দিনের কর্মশালায় ৮০ জন করে নারী অংশ নেন। গত জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে ভাতা বাবদ তিন লাখ ৪৪ হাজার ৯৭৬ টাকা, প্রশিক্ষণার্থীদের স্টেশনারি ক্রয় বাবদ দুই লাখ ৩৬ হাজার ৬০ টাকা, আপ্যায়ন এক লাখ ৮৮ হাজার ৮৪৮ টাকাসহ মোট আট লাখ ১৯ হাজার ১৮৪ টাকা তুলেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের মহিধর কমিউনিটি ক্লিনিকের ইউএইচসিপি পারভীন বেগম জানান, কর্তৃপক্ষ প্রশিক্ষণার্থীদের মাথাপিছু আপ্যায়ন ৩০ টাকা হারে দিয়েছে। ৬০০ টাকা হারে দু’দিনের ভাতা পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
পারভীন বেগম আরও বলেন, কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের আর কোনো সরকারি সহায়তা কিংবা স্টেশনারি পণ্য দেওয়া হয়নি। একই কথা জানান, রামকার্জী কমিউনিটি ক্লিনিকের ইউএইচসিপি তপন পাল, তালুক সোনাবর ক্লিনিকের ইউএইচসিপি রোমানা ফেরদৌস, দেবীচরণ কমিউনিটি ক্লিনিকের ইউএইচসিপি আহসান হাবিব, পোদ্দারপাড়া ইউএইচসিপি শাহজালাল, ইউএইচসিপি আশরাফুল হক।

২০২১ সালের ২৪ জুন উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে করোনা সচেতনতায় প্রচারের ব্যয় এক লাখ ৬৮ হাজার, আলোচনা সভার আপ্যায়ন ৩৯ হাজার ২০০, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ক্রয় দেখিয়ে ২৪ হাজার টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে নমুনা সংগ্রহ ও জেলায় পাঠাতে পরিবহন ব্যয় দুই লাখ ৪২ হাজার ৯০০ টাকা তোলা হয়।

অ্যাম্বুলেন্স মেরামত ও মেডিকেল যন্ত্রপাতি কিনতে তিন লাখ টাকা ব্যয় দেখানো হয়। অ্যাম্বুলেন্স চালক আবুল কালামের ভাষ্য, গত এক বছরে অ্যাম্বুলেন্সের কোনো মেরামত বা যন্ত্রাংশ কেনা হয়নি। করোনার নমুনা সংগ্রহ ও জেলায় তা পাঠাতে স্বাস্থ্যকর্মীদের মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবিকা শান্তি রায় বলেন, ‘করোনার টিকা, ভিটামিন এ প্লাস বা অন্যান্য কর্মসূচির জন্য তিনি ভাতা পাননি।’ একই কথা বলেন, সেবিকা তীর্থ রানী, নেওয়াজ সেলিনাসহ অন্যরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান হিসাবরক্ষক আশরাফুল ইসলাম জানান, করোনা বিষয়ে বিলগুলো তার যোগদানের আগের। মাদার সাপোর্ট কর্মশালার বিলগুলোও তার তৈরি না। কার মাধ্যমে এসব বিল তৈরি করা হয়েছে তা তার জানা নেই। সাবেক হিসাবরক্ষক (বর্তমানে কুড়িগ্রাম সরকারি হাসপাতালে কর্মরত) আব্দুর রাজ্জাক জানান, তাকে দিয়েও এসব বিল তৈরি করা হয়নি।


এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান জুয়েল দাবি করেন, কাজ করে বিল করা হয়েছে। শতভাগ কাজ করা সম্ভব নয়। হিসাব সহাকারী দিয়ে বিল না করার অভিযোগে বলেন, সবাই সব কাজ পারে না। যে পারে তাকে দিয়ে করানো হয়। ভুয়া ভাউচারের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের লোকজন এগুলো লেখে। দোকানদাররা তো বোঝে না।

কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ড. মনজুর এ-মোর্শেদ বলেন, রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এসব বিষয়ে খোঁজ নিয়ে তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2025
Theme Customized By BreakingNews