সিলেটে স্বামীর সাথে দ্বন্ধের জেরে পাঁচ বছরের শিশু কন্যাকে বালিশ চাঁপায় নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে এক পাষণ্ড মা। সন্তান হত্যা করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন ওই মা।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সিলেট শহরতলীর শাহপরানের নিপবন আবাসিক এলাকায় এ হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে ।
নিহত শিশু সাবিহা ওই এলাকার আজাদ মঞ্জিলের বাসিন্দা সাব্বির আহমদ ও নাজমিন বেগমের কন্যা।
নাজমিন বেগম সাব্বির আহমদের দ্বিতীয় স্ত্রী । সাব্বির আহমেদ একজন প্রবাসী।
কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানিয়েছেন, নাজমিন বেগম বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে বলে তিনি নিজের সন্তানকে খুন করেছেন । নাজনীন বলেন, আমি আমার মেয়ের খুনি, আমাকে গ্রেফতার করুন। এ সময় ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ তাকে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে নাজমিন বেগম বালিশ চাপা দিয়ে নিজের মেয়ে সাবিহাকে খুন করেছে বলে জানায়। এবং সাবিহা বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে বলেও তথ্য দেয়। এরপর ওসি খোঁজ নেন হাসপাতালে। সেখানে শিশু সাবিহার লাশ থাকার বিষয়ে সত্যতা পান। ওই শিশুর সঙ্গে হাসপাতালে এসেছিলেন কিশোর বয়সী সৎ ভাই বোন। তারা লাশের পাশে বসে কাঁদছিলো। ঘটনার সত্যতা পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ শিশুটির মা নাজমিন বেগমকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানায়, সিলেটের গোলাপগঞ্জের কালিকণ্ঠপুরের বাসিন্দা নাজমিন বেগমের সঙ্গে প্রবাসী সাব্বির আহমদের বিয়ে হয়েছে কয়েক বছর আগে। গত দেড় মাস আগে সাব্বির আহমদ প্রবাস থেকে দেশে ফিরেন। তার আগে থেকেই নাজমিনের সঙ্গে সাব্বিরের পারিবারিক বিরোধ দেখা দেয়। এ কারণে দেশে ফিরলেও নাজমিনের সঙ্গে ঘর সংসার করছিলেন না।
তিনি জানান, স্বামীর সঙ্গে বিরোধের জের ধরে শিশুকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নাজমিন। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে শিশু হত্যার খবর পেয়ে সন্ধ্যায় থানায় যান প্রবাসী সাব্বির আহমদ। তিনি এ ব্যাপারে বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।