ইলিয়াস হোসাইন।।
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে কলেজছাত্র অপি হত্যার একমাস পরও উদঘাটন হয়নি হত্যার রহস্য। ফলে অধরাই রয়ে গেছে হত্যাকারীরা। তদন্তে পুলিশের অবহেলার কারণেই এমনটি হচ্ছে বলে হত্যার শিকার অপির পরিবার দাবি করছে।
তবে পুলিশ বলছে, হত্যাকারীদের দ্রুতই গ্রেফতার করা হবে। মামলা সূত্রে জানা যায়, মির্জাগঞ্জের দেউলি সুবিদখালী ইউনিয়নের মধ্য রানীপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনেস্টবল আলতাফ হোসেনের ছেলে আরিফুর রহমান অপি। সে বরিশাল হাতেম আলী কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র ছিল। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর বেলা ২টায় বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পাওয়ায় ৩০ ডিসেম্বর মির্জাগঞ্জ থানায় জিডি করেন আলতাফ হোসেন। নিখোঁজের তিন দিন পর গত ২ জানুয়ারি জেলার সদর থানাধীন চর আকবর এলাকায় পায়রা নদী থেকে অপির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে পরিবার লাশটি অপির বলে শানাক্ত করে। এ ঘটনায় অজ্ঞাত আসামি উল্লেখ করে মির্জাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন অপির বাবা আলতাফ হোসেন। অপির বোন ইয়াসমিন আক্তার বলেন, অপির বন্ধু একই এলাকার লিমন ও সাব্বিরকে এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়। এরপর থেকেই তারা পলাতক। আমরা যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত পুলিশকে দিয়েছি। বারবার পুলিশের কাছে ধরনা ধরেছি। কিন্তু এক মাসের বেশি সময় পার হলেও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি কাউকে। এখনো উদঘাটিত হয়নি আমার ভাইয়ের হত্যার কারণ।
একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে অনেকটাই বাকহীন অপির বাবা আলতাফ হোসেন। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, একটি সাদা কাগজে পুলিশকে সন্দেহভাজনদের নামের তালিকা দিয়েছি, কিন্তু‘ ফলাফল শুন্য। আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।
মির্জাগজ্ঞ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, হত্যাকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। ২টি টিম ঢাকায় কয়েকবার হানা দিয়েছে। আশা করি মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে খুব শীঘ্রই হত্যাকারীদের ধরা সম্ভব হবে।