1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়ীয়ায় ডুবে যাওয়া কয়লা বোঝাই কার্গো জাহাজ উদ্ধার কাজ শুরু হয়নি এখনও - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ০১:২২ পূর্বাহ্ন

পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়ীয়ায় ডুবে যাওয়া কয়লা বোঝাই কার্গো জাহাজ উদ্ধার কাজ শুরু হয়নি এখনও

  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ৫ মার্চ, ২০২২
  • ৩৬৫ জন খবরটি পড়েছেন

মোংলা প্রতিনিধি।।

মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়ীয়ায় কয়লা নিয়ে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজের উদ্ধার কাজ শুরু হয়নি এখনও। দুর্ঘটনাকবলিত হওয়ার পর তিন দিনের মধ্যে ডুবন্ত কার্গো জাহাজটির উদ্ধার তৎপরতা শুরুর জন্য মালিক পক্ষকে শুক্রবার চিঠি দেয় বন্দরের হারবার বিভাগ।

গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রায় ৬শ মেট্টিক টন কয়লা নিয়ে হাড়বাড়ীয়ার এ্যাংকোরেজ এলাকার পশুর নদীর ডুবে চরে আটকে তলা ফেটে ওই কার্গো জাহাজটি ডুবে যায়।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি হারবার মাষ্টার ক্যাপ্টেন মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, কার্গো জাহাজ এম,ভি নাওমী বন্দরের হাড়বাড়ীয়া এলাকায় অবস্থানরত পানামা পতাকাবাহী সি এম,ভি জর্ডান এস জাহাজ থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে কয়লা বোঝাই করে। এরপর রাতে এটি ছেড়ে যাওয়ার পথিমধ্যে হাড়বাড়ীয়ার পশুর চ্যানেলের পশ্চিম পাশে ডুবো চরে আটকে পড়ে। সেখানে তলা ফেটে কার্গোটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনাকবলিত হওয়ার পরদিন শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সেখানে মার্কিং স্থাপন করেন বন্দরের হারবার বিভাগ।

এদিকে শুক্রবারের পর থেকে পরবর্তী তিনদিনের মধ্যে ডুবন্ত কার্গো জাহাজের কয়লা অপসারণ ও কার্গোটি দ্রুত উদ্ধারে মালিক পক্ষকে হারবার বিভাগ চিঠি দিলেও শনিবার বিকেল পর্যন্ত কোন কাজই শুরু করতে পারেনি মালিক পক্ষ। দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজের মাস্টার মোঃ আজিজুল হকের সাথে এ নিয়ে কথা বলার জন্য একাধিকবার তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

কয়লার কার্গো জাহাজ ডুবির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, কয়লা বিষাক্ত সালফার যুক্ত পণ্য। এই কয়লা পানিতে মিশে জলজ প্রাণী ও সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি করবে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে এই কয়লা অপসারণের দাবী জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরো বলেন, মুলত ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই, পণ্যবাহী নৌযানের ফিটনেস না থাকা, অদক্ষ ষ্টাফ দিয়ে নৌযান চালানো, পশুর চ্যানেলের ডুবন্ত রেক যথাসময়ে উত্তোলণ না করাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় একের পর এক নৌযান ডুবির ঘটনা ঘটে আসছে। এজন্য সংশ্লিষ্টদের অবশ্যই আরো বেশি সর্তক ও দায়িত্বশীল হবে বলে মত তার।উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের ১৬ নভেম্বর হাড়বাড়ীয়া এলাকায় কয়লা নিয়ে ডুবে যায় একটি বাল্কহেড।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews