ডেস্ক রিপোর্ট।।

২০১৯ সালে ব্যার্থ হলেও ২০২২ সালে এসে লক্ষ্য পূরণে সক্ষম হয়েছেন কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ। তিনি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হয়েছেন।

যশোরের কেশবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ। তিনি যশোরের কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী রফিকুল ইসলামের ছেলে।

রোববার (১৭ এপ্রিল) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটি ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানাভাবে আলোচিত হচ্ছে শ্রাবণের সভাপতি হওয়ার বিষয়টি।  

কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বরে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী হলেও বিতর্কের কারনে ভোটে হেরে তিনি সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোনীত হন। সেই সময় আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী হওয়া নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণের বড় ভাই কাজী মুস্তাফিজুর রহমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। মেঝ ভাই কাজী মুজাহিদুল ইসলাম পান্না উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক। আরেক ভাই কাজী আজাহারুল ইসলাম মানিক উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান আহ্বায়ক।

পরিবারের সবাই আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে জড়িত হলেও আর রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ বিএনপি’র সাথে জড়িত।    

রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের বাবা কাজী রফিকুল ইসলাম বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নৌকার প্রার্থী কে হারিয়ে নির্বাচিত হন।একইভাবে শ্রাবণের বড় ভাই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন না পেয়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে স্বতন্ত্র ভোট করে নৌকা ডুবিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে কেশবপুরে কাজী পরিবারের আওয়ামী লীগ-বিএনপিতে নেতৃত্ব দেওয়ার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা চলছে।

শ্রাবণের পরিবার সুত্রে জানা গেছে, ভিন্ন দলের রাজনীতি করায় পরিবারের সঙ্গে তার সাথে পরিবারের কোন সম্পর্ক নেই এবং পরিবারের কেউ তার সাথে যোগাযোগকরেন না। এমন কি শ্রাবণও পরিবারের কারোর সাথে যোগাযোগ রাখেন না।