এ আর রাকিবুল হাসান, কুড়িগ্রাম।।
কুড়িগ্রামে যত্রতত্র নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে গড়ে উঠেছে বেকারি কারখানা। বিশেষ করে কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙ্গা ঘোগাদহ ইউনিয়নসহ আশে পাশের প্রতিটি ইউনিয়নে কম বেশি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নামে বেনামে বেশ কিছু বেকারি কারখানা।
এর মধ্যে অন্যতম হলো ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মধ্যকুমরপর নিজ বাসাতে শ্রী রামপ্রসাদ এর বেকারি ও ঘোগাদহ ইউনিয়নের ঘোগাদহ বাজারে শ্রী এর অপর একটি বেকারি। এ দুটি বেকারিতে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেকারি পণ্য তৈরি হচ্ছে। উৎপাদিত খাদ্যের মান প্রণয়ন এবং গুণগত মান নিশ্চিত করণে খুব বেশি ব্যাবস্থা নিতে দেখা যায়না। নিয়মনীতি না মেনে স্যাতসেতে, ভেজাল ও নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে অবাধে তৈরি করছে বেকারি খাবার।
সরেজমিনে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বেকারি খাবার তৈরি করতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ, কেমিক্যাল ও নিম্নমানের পাম তেল ব্যবহার করা হচ্ছে। শ্রমিকরা বিশেষ পোশাক ছাড়া খালি গায়ে ও পায়ে খাবার তৈরি করছে। নোংরা ও অপরিষ্কার টেবিল এবং যে সমস্ত কড়াই গুলোর মাধ্যমে ময়দা প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে এবং তাতে ঝাকে ঝাকে মাছি ভনভন করছে।
এছাড়া মেয়াদ উওীর্ণ ও তারিখ ছাড়াই মোড়কে বনরুটি, পাউরুটি, কেক, সিঙ্গারা, সিমা, বিস্কুটসহ বিভিন্ন ধরনের নিম্নমানের বেকারি খাবার বাজারজাত করা হচ্ছে যা প্রশাসনের চোখে ফাকি দিয়ে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভেজাল কেমিক্যাল ও নিম্নমানের উপকরণে তৈরি করা এইসব খাবার স্বাস্থের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।