বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক।
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রথমে মৃত্যু হয় রাজা আহমেদ শাওন নামে এক যুবদল কর্মীর। এরপর তুলারাম কলেজের ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেন সুজন মারা যান বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
নিহত শাওনের বাবার নাম শাহেদ আলী। বিএনপির নেতাদের দাবী, শাওন পুলিশের গুলিতে মারা গেছে। নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে মরদেহ রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক নাজমুল হোসেন। একই ঘটনায় এদিকে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
শাওনকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের (ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল) নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আর দুপুরে আহত সুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেবার পথে মৃত্যু হয় তার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল ১০টার দিকে বিএনপির ৪৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে শোভাযাত্রা করতে নগরের ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের শোভাযাত্রা করতে বাধা দেয়। সেসময় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
অন্যদিকে পুলিশ লাঠিপেটা করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে কাঁদুনে গ্যাস ও শটগানের গুলি ছোড়ে। এ সময় শহরের দুই নম্বর রেলগেট ও আশপাশের এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মামুন মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, পুলিশ অতর্কিতভাবে তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে লাঠিপেটা করেছে। আমাদের সময়ডটকম