1. bdtelegraph24@gmail.com : Bdtelegraph Bangla :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. islam.azizul93@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
কুড়িগ্রামের হাত বিহীন মানিক পা দিয়ে লিখে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শফিকুল আলমের শাস্তি দাবি: মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সরব প্রতিবাদ গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা শুরু, হামাসের প্রস্তুতি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণায় শ্যামনগরে আনন্দ মিছিল কুড়িগ্রামে হত্যা মামলায় আওয়ামীলীগ নেতা সাজু গ্রেফতার জেপিসি কমিটির বিরুদ্ধে মুসলিমসহ ভিন্নমত দমনের অভিযোগ মহাকুম্ভে পুণ্যার্থীদের জন্য মসজিদ-মাদ্রাসা ও ইমামবাড়ীর দরজা খুলে দিলেন মুসলিমরা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লড়াইয়ে রণক্ষেত্র ফুসরা গ্রাম, আহত ৮ ফাঙ্গিও-মসের চালানো মার্সিডিজ স্ট্রিমলাইনার বিক্রি হলো ৬৫০ কোটি টাকায় দাবি না মানলে রেললাইন ছাড়ব না, শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি শেখ হাসিনাকে এক শ কোটি টাকা ঘুষ দেয়া, সিমিন রহমানের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য

কুড়িগ্রামের হাত বিহীন মানিক পা দিয়ে লিখে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন

  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ২০৪ জন খবরটি পড়েছেন

এ আর রাকিবুল হাসান, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি।

জন্ম থেকেই দুই হাত নেই মানিক রহমানের (১৬)। তবুও থেমে যায়নি লেখাপড়া। পা দিয়ে লিখে এবার কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ফুলবাড়ী জছি মিঞা মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন।

মানিক রহমান উপজেলার চন্দ্রখানা গ্রামের মিজানুর রহমান ও মরিয়ম দম্পতির ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অদম্য মেধাবী মানিক রহমানের দুই হাত নেই। জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া মানিক এবার ফুলবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (পাইলট) কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন।

মানিক রহমান বলেন,আমার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন আমাকে সুস্থ রাখেন। আমি লেখাপড়া শেষ করে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই।

মানিক রহমানের মা মরিয়ম বেগম বলেন, আমার ছেলে জন্ম থেকেই শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী। লেখাপড়ায় তার খুব আগ্রহ। আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করছি তাকে। সে লেখাপড়া শেষ করে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখে।

বাবা ঔষধ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান জানান , আমার দুই ছেলে। তার মধ্যে মানিক বড়। জন্মের পর থেকেই সে শারীরিক প্রতিবন্ধী। ছোট থেকেই তাকে পা দিয়ে লেখার অভ্যাস তৈরি করি। সমাজে তো সুস্থ অনেক মানুষ আছে, তাদের চেয়ে যখন রেজাল্ট ভালো করে নিজের কাছে গর্ব লাগে।

ফুলবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের (পাইলট) কেন্দ্রের সুপার মো. মশিউর রহমান বলেন, মানিক ছাত্র হিসেবে খুবই ভালো। সে জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। তাছাড়াও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিও পেয়েছে। সে ভালোভাবেই পরীক্ষা দিচ্ছে। তার পায়ের লেখা দেখে কারও বোঝার উপায় নেই সে প্রতিবন্ধী। তার পায়ের লেখাও দারুণ। তার জন্য দোয়া থাকবে। সে অনেক বড় অফিসার হবে।

জেলা শিক্ষা অফিস জানায়, জেলার ৯ উপজেলায় ৫৭টি কেন্দ্রে ২৭ হাজার ১৫১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। এর মধ্যে মাধ্যমিকে ৩৪টি কেন্দ্রে ১৮ হাজার ৮৩৯ জন, ভোকেশনালে ১১টি কেন্দ্রে ২ হাজার ৭৫৭ জন ও মাদরাসায় ১২টি কেন্দ্রে ৫ হাজার ৫৫৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews