এ আর রাকিবুল হাসান, (বিশেষ প্রতিনিধি ) কুড়িগ্রাম।
দুর-দুরান্ত থেকে পাটখড়ি কিনতে কুড়িগ্রামের যাএাপুর হাটে আসছেন ক্রেতা। গৃহস্থের চাহিদা অনুযায়ী বিক্রেতারা বিক্রি করছেন পাটখড়ি। দাম ও চাহিদা বেশী থাকায় লাভবান হচ্ছেন তারা। হাতের কাছে পাটখড়ি পেয়ে খুশী ক্রেতারা। সপ্তাহে ২ দিন শনিবার, মঙ্গলবার বসে পাটখড়ির এই হাট । ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার পাটখড়ি বিক্রি হয়।
রান্নার জন্য গৃহিণীদের কাছে পাটখড়ির বেশ কদর।জ্বালানি হিসাবে পাটখড়ির চাহিদা থাকায় জ্বালানি ছাড়াও পানের বরজে বাঁশের শলার বিকল্প হিসেবে পাটখড়ি ব্যবহার হয়ে থাকে।তাই পানের বরজের জন্যও পাটখড়ি কিনতে আসছেন পান চাষীরা। কুড়িগ্রামের ঐতিহ্যবাহী যাএাপুর হাটে বসেছে এই পাটখড়ির হাট। সপ্তাহে ২ দিন শনিবার, মঙ্গলবার বসে এই হাট। আর তাই এই হাট থেকে পাটখড়ি কিনছেন গৃহস্থরা। চাহিদা বেশি থাকায় আগের তুলনায় পাটখড়ির দামও বেড়ে গেছে।হাতের কাছে পাটখড়ি পেয়ে খুশি ক্রেতারাও। প্রতিমন পাটখড়ি বিক্রি হচ্ছে ৫শত থেকে ৬ শত টাকা দরে । গৃহস্থের চাহিদা অনুযায়ী বিক্রেতারা বিক্রি করছেন পাটখড়ি। দাম ও চাহিদা বেশী থাকায় লাভবান হচ্ছেন তারা।
দুধকুমর নদের চরাঞ্চলে উৎপাদিত পাটখড়ি বাজারে কৃষকরা নিয়ে আসেন বিক্রির জন্য।পাটখড়ি বিক্রি হচ্ছে ভালো,ভীড় বাড়ছে ক্রেতাদের। দাম বেশী পেয়ে খুশী বিক্রেতা। পাটখড়ি বিক্রি করে লাভবান তারা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,স্থানীয় এই হাটে বিক্রি হচ্ছে পাটখড়ি।নদীর পাড়ে বিশাল জায়গা জুড়ে পাটখড়ির ছোট-বড় আটি।প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ জন বিক্রেতা পাটখড়ি নিয়ে আসেন বাজারে। চাহিদা বেশি থাকায় আগের তুলনায় পাটখড়ির দামও বেড়ে গেছে। ট্রলি ও ভ্যান নিয়ে দুর-দুরান্ত থেকে আসছেন লোকজন।
পাটখড়ি বিক্রেতা নাওয়নী গ্রামের আমজাদ, যাএাপুর গ্রামের রমজান, শাহজাহান বলেন, দাম ভালো পাওয়ায় আমরা খুশি যাএাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর বলেন,যাএাপুর হাট একটি ঐতিহ্যবাহী হাট। এই হাটে গরু, ছাগল, ভেড়া, পান ও খড়ের হাট বসে। পাটখড়ি স্বল্পকালীন পাটখড়ির এই ব্যবসা করে লাভবান হচ্ছেন বিক্রেতারা।হাতের কাছে পাটখড়ি পেয়ে খুশী ক্রেতারাও।